মোদীকে ভোট দেওয়া মানে পাকিস্তানকে ভোট দেওয়া, ইমরান ইস্যুতে তোপ কংগ্রেসের
ইমরান খান দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদী আবার প্রধানমন্ত্রী হলে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের শান্তি আলোচনার রাস্তা আরও প্রশস্ত হবে। তাই তিনি নরেন্দ্র মোদীর জয় চেয়েছেন।
![মোদীকে ভোট দেওয়া মানে পাকিস্তানকে ভোট দেওয়া, ইমরান ইস্যুতে তোপ কংগ্রেসের মোদীকে ভোট দেওয়া মানে পাকিস্তানকে ভোট দেওয়া, ইমরান ইস্যুতে তোপ কংগ্রেসের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/04/10/185966-modi-imran-vote.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেস পাকিস্তানের মানুষের জন্য ইস্তেহার তৈরি করেছে। সম্প্রতি এই ভাষাতেই রাহুল গান্ধীর দলকে আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার মোদীকেই পাকিস্তান নিয়ে খোঁচা দিল কংগ্রেস।
আর এই খোঁচা দেওয়ার জন্য রাহুল গান্ধীর দল হাতিয়ার করল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্তব্য। এবার সরাসরি কংগ্রেস দাবি করল, মোদীকে ভোট দেওয়া মানে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া।
আরও পড়ুন: মোদী সরকার ফের ক্ষমতায় এলে শান্তির পথ খুলবে, বলছেন পাক প্রধানমন্ত্রী
কংগ্রেসের সুরে সুর মিলিয়েছে অন্য বিরোধীরা। তাদের দাবি, এর থেকেই স্পষ্ট হল মোদী আসলে ইমরানের সহযোগী।
মঙ্গলবার সকালে ভারত সম্বন্ধে ইমরান খানের একটি মন্তব্য নিয়ে হইচই পড়ে যায়। ইমরান খান বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদী আবার প্রধানমন্ত্রী হলে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের শান্তি আলোচনার রাস্তা আরও প্রশস্ত হবে। তাই তিনি নরেন্দ্র মোদীর জয় চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: রয়েছে ৮.৫ লাখ টাকার সম্পত্তি, হলফনামায় জানালেন ‘বেকার’ কানহাইয়া কুমার
তবে তিনি নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালে ভারতের অবস্থা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ভারতে বিদ্বেষমূলক রাজনীতি চলছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। ইমরান ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর সঙ্গেও তুলনা করেছেন মোদীর।
আর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস ও বিরোধীরা মোদীকে তুলোধনা করতে আসরে নেমে পড়েছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা এ নিয়ে ট্য়ুইট করেন। লেখেন, “পাকিস্তান এখন মোদীর স্বীকৃতি সহযোগী হয়ে গিয়েছে। তাই মোদীকে ভোট দেওয়া মানে পাকিস্তানকে ভোট দেওয়া।’’
আরও পড়ুন: বিপুল অঙ্কের ফোন বিল বকেয়া বরুণের, নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ বিএসএনএল-এর
এখানেই থামেননি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ ওই নেতা। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, “এর আগে মোদীজি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে ভালোবাসা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ইমরান খান তাঁর সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন।’’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী বালাকোটের ঘটনার পর থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ করছেন। পাকিস্তানের জন্য কংগ্রেসের সমবেদনা বেশি বলেই তিনি বারবার দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: ভোটের মুখে লালুর জামিনের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
এবার তাঁকেই পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কংগ্রেসের মতো একই প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। তিনি বলেন, “পাকিস্তান ইস্যু নিয়ে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সরব প্রধানমন্ত্রী। তিনি তো পাকিস্তানের সঙ্গে বিরোধীদের সম্পর্কও তৈরি করে ফেলেছেন। এখন আমরা বুঝতে পারছি পাকিস্তান কাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছে।’’
একই সঙ্গে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, “তিনি ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি আইএসআইকে সামরিক ঘাঁটিতে আমন্ত্রণ করেছিলেন। তিনি ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি বিনা নিমন্ত্রণেই পাকিস্তানে হাজির হয়েছিলেন।’’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বায়োপিক ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’-র মুক্তি আটকে দিল নির্বাচন কমিশন
ইয়েচুরির বক্তব্য, বিদেশের সরকার ভারতের নির্বাচনে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছে। এটা খুবই চিন্তার বিষয়। কারণ, এর আগে আইএসআই ও এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোদীর জয় দেখতে চাইছে।
বিরোধীরা জিতলে পাকিস্তানে উত্সব শুরু হয়ে যাবে বলেও দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার তাঁর সেই বক্তব্যকে তুলে ধরেই খোঁচা দিয়েছেন আম আদমি পার্টির কনভেনার অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
আরও পড়ুন: ‘ছয় মাস হয়নি মধ্য প্রদেশের সরকার, এর মধ্যেই শুরু দুর্নীতি’ জুনাগড় থেকে কংগ্রেসকে তুলোধনা মোদীর
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, এবার বোঝা যাচ্ছে ভারতে কে জিতলে পাকিস্তানে উত্সব শুরু হবে। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ঠিক কী, তা দেশবাসীর কাছে মোদীর জানানো উচিত বলে তিনি দাবি তুলেছেন।