মানবতার খাতিরেই ললিত মোদীকে সাহায্য, দাবি সুষমা স্বরাজের
মানবতার খাতিরেই প্রাক্তন আইপিএল প্রধান ললিত মোদীকে ব্রিটিশ ট্রাভেল ডকুমেন্ট পেতে সাহায্য করেছিলেন তিনি। এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বিদেশ মন্ত্রীর আইপিএল কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত লোলিত মোদীকে সাহায্য করা নিয়ে রবিবার বিতর্কে সরগরম হয়ে ওঠে দেশীয় রাজনীতি। বিরোধীরা সুষমা স্বরাজের পদত্যাগের দাবি তোলেন। যদিও বিজেপি তথা কেন্দ্র সরকার এই বিষয়ে সুষমাকে সম্পূর্ণ সমর্থনের পথ ধরেছে। উড়িয়ে দিয়েছে তাঁর পদত্যাগের সমস্ত সম্ভাবনাই।
ওয়েব ডেস্ক: মানবতার খাতিরেই প্রাক্তন আইপিএল প্রধান ললিত মোদীকে ব্রিটিশ ট্রাভেল ডকুমেন্ট পেতে সাহায্য করেছিলেন তিনি। এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বিদেশ মন্ত্রীর আইপিএল কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত লোলিত মোদীকে সাহায্য করা নিয়ে রবিবার বিতর্কে সরগরম হয়ে ওঠে দেশীয় রাজনীতি। বিরোধীরা সুষমা স্বরাজের পদত্যাগের দাবি তোলেন। যদিও বিজেপি তথা কেন্দ্র সরকার এই বিষয়ে সুষমাকে সম্পূর্ণ সমর্থনের পথ ধরেছে। উড়িয়ে দিয়েছে তাঁর পদত্যাগের সমস্ত সম্ভাবনাই।
বিতর্কের সূত্রপাত্র একটি ইমেলের ফাঁস হওয়ার পর থেকে। এই ইমেল থেকে জানা যায় সুষমা, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সাংসদ কেথ ভাজ ও দিল্লিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস বেভানের সঙ্গে ললিত মোদীর পর্তুগাল যাওয়া সংক্রান্ত ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে ছাড়ের আবেদন করেছেন। গত বছর জুনে স্ত্রীর ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য পর্তুগাল যান আইপিএল-এর বিতর্কিত প্রাক্তন চেয়ারম্যান ললিত মোদী।
২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া আইপিএল-এ বেআইনি বিদেশি অর্থ আদান প্রদানের অভিযোগ রয়েছে ললিত মোদীর বিরুদ্ধে। ২০১০ সাল থেকে ভারতে যে কোনও ধরণের তদন্ত থেকে রক্ষা পেতে লন্ডনের বাসিন্দা ললিত মোদী। ইউপিএ সরকারের আমলে বাতিল করা হয় মোদীর পাসপোর্ট। চেষ্টা চালানো হয় ললিত মোদীর বহি: সমর্পনের।
ব্রিটিশ মিডিয়া অনুযায়ী সুষমা স্বরাজের নাম উল্লেখ করে কেথ ভাজ ব্রিটেনের শীর্ষ অভিবাসন কর্মকর্তাদের উপর মোদীর ব্রিটিশ ট্রাভেল ডকুমেন্টস সংক্রান্ত কাগজপত্র তাড়াতাড়ি দিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ বাড়ান। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ডকুমেন্টস হাতে পেয়ে যান মোদী।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রিটেনে আইন ডিগ্রি কোর্সের জন্য সুষমা স্বরাজের ভাইপো জ্যোতির্ময় কৌশলকে সাহায্য করেন ভাজ।
বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গেই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র সরকারের স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি নিয়েও।