সংসদে নীরব প্রতিবাদে একা তৃণমূল, বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তবে কি একলা চলো নীতি মমতার?
সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রতিবাদে সামিল বাম-সপা-আরজেডি-ডিএমকে সহ অন্যান্য বিরোধী দল। নেই কেবল তৃণমূল।
![সংসদে নীরব প্রতিবাদে একা তৃণমূল, বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তবে কি একলা চলো নীতি মমতার? সংসদে নীরব প্রতিবাদে একা তৃণমূল, বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তবে কি একলা চলো নীতি মমতার?](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/01/31/232006-capture.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, নাগরিকপঞ্জি বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। রাষ্ট্রপতির ভাষণের মধ্যেই সেন্ট্রাল হলে পোস্টার হাতে নীরব প্রতিবাদে সামিল তৃণমূল। কিন্তু, সংসদ ভবনের বাইরে একই ইস্যুতে বিরোধীদের প্রতিবাদে যোগ দিল না তারা। বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তিক্ততার জেরে, বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কি এবার থেকে একাই চলবেন মমতা? রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা।
বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন। রাষ্ট্রপতির ভাষণ শুরু আগে সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্নায় সোনিয়া গান্ধী-রাহুল গান্ধী। সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রতিবাদে সামিল বাম-সপা-আরজেডি-ডিএমকে সহ অন্যান্য বিরোধী দল। নেই কেবল তৃণমূল। রাষ্ট্রপতির ভাষণ আরম্ভ হতে দেখা গেল, তৃণমূল সাংসদরা, প্ল্যাকার্ড হাতে নীরবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সেন্ট্রাল হলের ভিতর তাঁদের হাতে নো সিএএ, নো এনআরসি লেখা পোস্টার। তৃণমূলের এই প্রতিবাদে আবার নেই অন্য বিরোধীরা।
আরও পড়ুন, নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল ফাঁসি
প্রসঙ্গত, ৮ জানুয়ারি, বাম-কংগ্রেসের ধর্মঘটে অশান্তি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ১২ জানুয়ারি, দিল্লিতে বিরোধীদের নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে যাননি তিনি। অন্যদিকে ১১ জানুয়ারি, রাজভবনে মোদী-মমতা বৈঠক নিয়ে সুর চড়ায় বাম-কংগ্রেস। তিক্ততা বাড়ায় মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়ে দেন প্রয়োজনে বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি একাই লড়াই চালিয়ে যাবেন। বাজেট অধিবেশনের শুরুতে, তারই প্রতিফলন দেখা গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে রাষ্ট্রপতির ভাষণ চলাকালীন সংসদের ভিতর তৃণমূলের পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদের নিন্দায় আবার সরব বিজেপি। যদিও, এতে রাষ্ট্রপতির অসম্মান হয়নি বলেই মনে করছে ঘাসফুল শিবির।