৩৪০ পতন সেনসেক্স-এ, আরও কমল টাকার দাম
আরও তলিয়ে গেল টাকা। ডলারের তুলনায় টাকার দামে রেকর্ড পতন ঘটেছে। আজ মার্কিন ডলারের বিনিময়মূল্য নেমে দাঁড়ায় ৬৪টাকা ৫২ পয়সা। এই নিয়ে টানা ৫ দিন টাকার দামের পতন ঘটল। টাকার দামের সঙ্গে পড়েছে শেয়ার বাজারও। আজ ৩৪০ পয়েন্ট পড়ে যায় সেনসেক্স। বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স ছিল ১৭৯০৫, যা গত ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ সূচক নিফটিও প্রায় ৯৯ পয়েন্ট পড়ে গেছে। একদিকে টাকার দামের পতন, অন্যদিকে মার্কিন অর্থনীতির হাল ফেরার ইঙ্গিত- এই দুয়ের জেরেই শেয়ার বাজারের নিম্নগতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও তলিয়ে গেল টাকা। ডলারের তুলনায় টাকার দামে রেকর্ড পতন ঘটেছে। আজ মার্কিন ডলারের বিনিময়মূল্য নেমে দাঁড়ায় ৬৪টাকা ৫২ পয়সা। এই নিয়ে টানা ৫ দিন টাকার দামের পতন ঘটল। টাকার দামের সঙ্গে পড়েছে শেয়ার বাজারও। আজ ৩৪০ পয়েন্ট পড়ে যায় সেনসেক্স। বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স ছিল ১৭৯০৫, যা গত ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ সূচক নিফটিও প্রায় ৯৯ পয়েন্ট পড়ে গেছে। একদিকে টাকার দামের পতন, অন্যদিকে মার্কিন অর্থনীতির হাল ফেরার ইঙ্গিত- এই দুয়ের জেরেই শেয়ার বাজারের নিম্নগতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ১১ মাসে এখন সবচেয়ে তলানিতে সূচক। দিনের শেষে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ ৩৪০ পয়েন্ট, নেগেটিভে ১৭৯০৫.৯১ তে বন্ধ হয়। অন্যদিকে নিফটিও ৯৮.৯০ পয়েন্ট নিচে চলে যায়। নিফটি বন্ধ হয় ৫,৩০২ পয়েন্টে। শেয়ার বাজারে অধঃপতনের কারণ টাকার পতনের জন্য হলেও অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা আরও মনে করছেন বাজারে ছাড়া বন্ডগুলি ১০ শতাংশের কাছাকাছি ছুঁয়ে যাওয়ার পরই `প্রাইস আর্নিং রেশিও`(পি ই) কমতে শুরু করছে।
অর্থনীতির এই অধোগতির জন্য আরও কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করছেন বিশেষজ্ঞরা।
**কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট
ভারত তার উত্পাদিত পন্য রফতানি করে যত ডলার আয় করে, আমদানি বাবদ খরচ হয় তার থেকে বেশি। চলতি খাতে এই ঘাটতির হার বাড়তে থাকাতেই কমছে টাকার দাম।
**আমদানি খরচ বৃদ্ধি
আর্থিক মন্দার বিশ্বে রফতানি বাড়ানোর সুযোগ কম। তাই কমাতে হবে আমদানি। সোনার আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে সে চেষ্টাও করা হয়েছে। কিন্তু, পেট্রোপন্য আমদানি করতেই হবে। টাকার দাম পড়ায় যার জন্য বাড়তি খরচ গুনছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি। যার জেরে বাড়তে পারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। যার পরোক্ষ প্রভাবে আবার জিনিসপত্রের দাম বাড়ার আশঙ্কা। বিদেশি বিনিয়োগে ঘাটতির ফলে আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে অর্থনৈতিক মন্দা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যদি এইভাবে টাকার পতনে কোনও নিয়ন্ত্রণ না থাকে তাহলে ডলার পিছু টাকার দাম ৭০ ছুঁতে পারে। বিশ্ববাজারে ভারতের বাণিজ্যে ঘাটতি রয়েছে। বাজারে যেসব বীমা খাটছে তার দীর্ঘমেয়াদী নিয়ন্ত্রণ দরকার। রাজকোষে হিসাব-নিকেশে আরও নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। এর সঙ্গেই দরকার সুদের হার সংশোধন করা।