কোণঠাসা মাওবাদীদের ভাতে মারতে ব্যাঙ্কগুলিতে বজ্রআঁটুনি ঝাড়খণ্ড পুলিসের
মাওবাদী হানার আশঙ্কায় ব্যাঙ্ক-এটিএমের সামনে সর্বক্ষণ চলছে পুলিসি নজরদারি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাওবাদীদের ভাঁড়ারে টান। এখন তাদের নজর জঙ্গলমহলের ব্যাঙ্ক-এটিএমে। খবর মিলতেই তত্পর হয়েছে পুলিস। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারদেরও সতর্ক করা হয়েছে।
২০০৯-এর অক্টোবরে লালগড়ের কেশিয়াপাতায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দেয় মাওবাদীরা। লুঠ হয়ে যায় ৯ লক্ষ টাকা। ফের একই কায়দায় তারা ব্যাঙ্ক লুঠের চেষ্টা চালাতে পারে বলে গোয়েন্দাদের আশঙ্কা। সাংগঠনিকভাবে এখন সারা দেশেই কোণঠাসা মাওবাদীরা। বেশ কিছুদিন ধরেই ভাঁড়ারে টান। তাই টাকা জোগাড়ে এবার তারা ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টা করতে পারে বলে খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা। নাশকতার আশঙ্কায় তত্পর হয়েছে পুলিস।
মাওবাদী হানার আশঙ্কায় ব্যাঙ্ক-এটিএমের সামনে সর্বক্ষণ চলছে পুলিসি নজরদারি। রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিকে ব্যাঙ্কমুখী করা হচ্ছে। রাতে এটিএমের সামনে থাকছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। কোথায় কে আছেন তা যাতে সহজেই জানা যায়, সেজন্য এটিএমের সামনে থেকে ছবি তুলে তাঁদের থানায় পাঠাতে হচ্ছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ওপর আবার নজর রাখছে পুলিসের টহলদারি দল। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সঙ্গেও বৈঠক সেরে ফেলেছে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিস। তাদের বলা হয়েছে, সব ব্যাঙ্কে সিসিটিভি-র সঠিক স্থানে রাখতে হবে। এটিএমের বাইরেও বসাতে হবে নজরদারি ক্যামেরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঝাড়খণ্ড সীমানায় সিসিটিভি, ওয়াচ টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপার।
আরও পড়ুন- এমএমএসে নগ্ন মহিলা তিনি নন, সন্তানদের প্রমাণে আড়াই বছরের লড়াই শেষে জয়ী মা