লাদাখ পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক, প্রয়োজন গভীর আলোচনার, জয়শঙ্করের গলায় উত্কণ্ঠার সুর

জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ভারত-চিনের সীমান্ত বিবাদ নতুন নয়, এর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বর্তমানে এই পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে

Updated By: Sep 8, 2020, 10:43 AM IST
লাদাখ পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক, প্রয়োজন গভীর আলোচনার, জয়শঙ্করের গলায় উত্কণ্ঠার সুর
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রকৃত সীমান্ত রেখায় ভারত-চিন বিবাদ আরও গুরুতর হচ্ছে, এ কথা মেনে নিচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এস জয়শঙ্কর বলেন, এই মুহূর্তে লাদাখ পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক স্তরে গভীর আলোচনা প্রয়োজন। দু’দিন পরেই মস্কোয় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনে অংশগ্রহণ করবেন বিদেশমন্ত্রী। তার আগে তাঁর এমন মন্তব্য অত্যন্ত ইঙ্গিতবহ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

এস জয়শঙ্কর জানান, সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা না থাকলে দু-দেশের মধ্যে কোনও ক্ষেত্রেই সুস্থ সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে না। গত ৩০ বছরে আলাপ-আলোচনার মধ্যে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় ছিল। এর মধ্যে সমস্যাও তৈরি হয়েছে। চিন হচ্ছে ভারতের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক পার্টনার। দুই দেশের অন্যান্য সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য আগে প্রয়োজন সীমান্তে শান্তি ফেরানো।

উল্লেখ্য, আগামী ৯ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর মস্কোয় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনে বিদেশ মন্ত্রক স্তরের বৈঠক রয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন এস জয়শঙ্কর। জানা যাচ্ছে ১০ সেপ্টেম্বর চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠক হতে পারে জয়শঙ্করের। ওই বৈঠকে ভারত-চিন বিবাদ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে এদিন প্রশ্ন করা হলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার হওয়ার ইঙ্গিত দেন এস জয়শঙ্কর। তবে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে এ নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি।

জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ভারত-চিনের সীমান্ত বিবাদ নতুন নয়, এর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বর্তমানে এই পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে। মে মাস থেকে শুরু হওয়া সীমান্তে ধারাবাহিক অশান্তিকে মোদী সরকার বারবার জাতীয়তাবাদের রং দিয়ে এসেছে বলে কটাক্ষ ছিল বিরোধীদের। গালওয়ান উপত্যাকায় লাল ফৌজ কতটা ভারতের ভূখণ্ড দখল করে বসে আছে, তা কেন্দ্র প্রকাশ্যে আনুক বলে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী এর উত্তরে একবার বলেন, চিনা ফৌজ ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশই করেনি। তাহলে, ২০ জন জওয়ান কীভাবে শহিদ হলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

আরও পড়ুন- ক্ষেপণাস্ত্রের গতি বাড়বে শব্দের চেয়ে ৬ গুণ, HSTDV-র সফল পরীক্ষা করল ভারত

কম্যান্ডার এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করে গালওয়ান বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টার মাঝেই সেপ্টেম্বরে নতুন করে হানা দেয় চিনা সেনা। ভারতের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ রুখে দেয় জওয়ানরা। এরপরই আরও তলানিতে ঠেকে দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক।   

.