করোনাভাইরাসে স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যু হলে শহিদের মর্যাদা, পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ: কেজরীবাল
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল বলেন, "এই মুহূর্তে এক এক জন সৈনিকের মতোই লড়াই করে চলেছেন চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশবাসীকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিয়েছেন আপনারা।"
![করোনাভাইরাসে স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যু হলে শহিদের মর্যাদা, পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ: কেজরীবাল করোনাভাইরাসে স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যু হলে শহিদের মর্যাদা, পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ: কেজরীবাল](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/04/01/242186-arvind.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাভাইরাসে মোকাবিলায় প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন যাঁরা, সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি মানবসমাজের ঋণ অপূরণীয়। দূর্ভাগ্যবশত কোনও স্বাস্থ্যকর্মীর করোনাভাইরাসে মৃত্য়ু হলে, তাঁকে 'শহিদের' মর্যাদা দেওয়া হবে। এমনকি তাঁর পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও দেবে সরকার। ঘোষণা করলেন দিল্লি মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল বলেন, "এই মুহূর্তে এক এক জন সৈনিকের মতোই লড়াই করে চলেছেন চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশবাসীকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিয়েছেন আপনারা।" মুখ্যমন্ত্রী জানান, একজন জওয়ান দেশের হয়ে লড়াই করতে গিয়ে শহিদ হলে দিল্লি সরকার তাঁর পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়। সেই একইভাবে কোনও স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসের মোকাবিলার সময়ে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলে এবং মৃত্যু হলে তাঁদেরও দেওয়া হবে শহিদের মর্যাদা। তাঁদের পরিবারের হাতে ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ তুলে দেবে আম আদমি পার্টি সরকার। এদিন কেজরীবাল বলেন, "আপনারা (স্বাস্থ্যকর্মীরা) জওয়ানদের থেকে কোনও অংশে কম নয়।"
আরও পড়ুন- লকডাউনে কমলো ভর্তুকিহীন গ্য়াসের দাম! মধ্যবিত্তের মুখে হাসি
তবে, শুধু সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষেত্রেই যে এমন নিয়ম, তা নয়। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী- উভয়ের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার জীবন বিমা ঘোষণা করেছে। করোনা আতঙ্কে প্রায় গোটা দেশ যেখানে গৃহবন্দি, সেখানে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।