হাসিনা সরকারের জমানায় নিপীড়িত নন সংখ্যালঘুরা, অবস্থান স্পষ্ট করল নয়া দিল্লি
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করার সময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবেশী দেশগুলিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
![](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/styles/zm_98x58/public/2019/02/09/174783-picture3.jpg?itok=_rGqEQYp)
![হাসিনা সরকারের জমানায় নিপীড়িত নন সংখ্যালঘুরা, অবস্থান স্পষ্ট করল নয়া দিল্লি হাসিনা সরকারের জমানায় নিপীড়িত নন সংখ্যালঘুরা, অবস্থান স্পষ্ট করল নয়া দিল্লি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/12/12/223538-mea.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রী ভারত সফর বাতিল করতেই প্রতিক্রিয়া দিল নয়া দিল্লি। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানান, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের ভূমিকা কী ছিল ভারত তা স্পষ্ট করেছে। বর্তমান সরকারে সংখ্যালঘুরা নিপীড়িত কখনও বলা হয়নি। সেনা শাসন এবং পূর্ববর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রক তরফে জানানো হয়েছে, সংবিধান মেনে সংখ্যালঘুদের উন্নীত করার চেষ্টা করছে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার।
উত্তর-পূর্ব ভারতে তুমুল বিক্ষোভের আবহে সফর বাতিল করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। বাতিলের কারণ যদিও সরকারি ভাবে জানানো হয়নি। তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ দিল্লি পৌঁছনোর কথা।
গতকাল রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে যাওয়ায় অসম,ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে বিক্ষোভ। রাস্তায় টায়ার জ্বেলে প্রতিবাদ জানায় বিক্ষোভকারীরা। দোকানপাটে হামলা চালানো হয়। পোড়ানো হয় বাস। মোতায়েন করা হয়েছে আধা সেনা। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। গতকাল থেকে অসম এবং ত্রিপুরার অধিকাংশ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বিঘ্নিত হচ্ছে বিমান চলাচলেও।
আরও পড়ুন- সংস্থা দিচ্ছে Special Offer! আই ফোন, গোয়া ট্রিপ ছেড়ে ফ্রি-তে পেঁয়াজ নিচ্ছেন গ্রাহকরা
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করার সময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবেশী দেশগুলিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সংখ্যালঘুদের সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষিত ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জীবনযাপন। তাঁর অভিযোগ, সে দেশে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা কমে যাওয়ার পিছনে হত্যা, ধর্মান্তিরত বিষয় রয়েছে।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল মোমেনের দাবি, সংখ্যালঘুরা এ দেশে নিপীড়িত, এ খবর ভুয়ো। সরকারের বিভিন্ন বড় পদে সংখ্যালঘুরা রয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ভারত অসহিষ্ণুতার দেশ বলে পরিচিত। ভবিষ্যতে এই জায়গা থেকে সরে এলে দু’দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে।