রাখঢাক নয়, এবার কপালে চন্দন লেপে হিন্দুত্বের পথে রাহুল, উঠল 'ব্যোম ব্যোম' ধ্বনি
অমেঠিতে শিবভক্তদের অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গুজরাটের নির্বাচনী প্রচারে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরেছিলেন রাহুল গান্ধী। নিজেকে শিবভক্ত বলেও দাবি করেছিলেন। কংগ্রেসের 'নরম হিন্দুত্বে'র প্রচারের ফলও মিলেছিল। গুজরাটে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিতে সক্ষম হয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। তবে লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, আর 'নরম হিন্দুত্ব' নয়, বরং মোদীর মোকাবিলায় 'হিন্দুত্বে'র পথেই রাহুল গান্ধী। অমেঠিতে কপালজুড়ে চন্দন মেখে পুজো দিলেন শিবের। সভা থেকে আওয়াজ উঠল, 'হর হর ব্যোম ব্যোম'। যা দেখে বিজেপির কটাক্ষ, গেরুয়া সন্ত্রাসবাদ শব্দের উদ্ভাবন করেছিলে তো এই রাহুল গান্ধী।
এদিন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র অমেঠিতে ২ দিনের সফরে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেখানেই কাওয়ারি বা শিবভক্তদের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন কংগ্রেস সভাপতি। হর হর ব্যোম ব্যোম ধ্বনির মাঝেই মঞ্চে ওঠেন রাহুল। কপালে চন্দন। শিবের ফটোতে ফুল দেন কংগ্রেস সভাপতি।
#WATCH Rahul Gandhi offers prayers to Lord Shiva in Amethi. He was also felicitated by 'Kawariyas' pic.twitter.com/XTpP9YEfqq
— ANI UP (@ANINewsUP) September 24, 2018
রাহুলের শিবভক্তি দেখে পাল্টা নিশানা করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই রাহুল গান্ধীই তো গেরুয়া সন্ত্রাস শব্দের উদ্ভাবন করেছেন। আচমকা শিবভক্ত হয়ে গিয়েছেন। রংবেরংয়ের পোশাক পরে হিন্দুত্বের নামে মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই কৈলাস মানসরোবরে পুজো দিয়ে এসেছেন রাহুল গান্ধী। সেখান থেকে নিজের ছবিও পোস্ট করেছেন। এমনকি একদিনে ৩৬ কিলোমিটার পথ যে হেঁটেছেন, তা ফিটবিটের স্ক্রিনশট দিয়েও টুইট করেছে কংগ্রেস।
রাম মন্দির আন্দোলন থেকে বিজেপি উত্থান। রামের ভরসায় দুই সাংসদের দল আজ কেন্দ্রের ক্ষমতায়। ক্ষমতা থেকে সরার পর একে অ্যান্টনির নেতৃত্বে কংগ্রেসের একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি জানিয়েছিল, কংগ্রেসের সংখ্যালঘু তোষণ মেনে নিতে পারছেন না দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু। তাঁরা ভাবছেন, কংগ্রেস মুসলিমদের দল। রাজনৈতিক মহলের মতে, সে কারণেই নিজেদের কৌশলে পরিবর্তন এনেছেন কংগ্রেস নেতারা। রামের পাল্টা শিবের গান গেয়ে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠদের মন জিততে চাইছে রাহুল গান্ধীর দল। সেই লক্ষ্যে রাহুলকে শিবভক্ত হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।
তবে পিছিয়ে নেই বিজেপিও। অনেকেই বলেন, হিন্দুত্বের রাজনীতিতে পিএইচডি করেছেন বিজেপি নেতারা। ফলে রাতারাতি তাঁদের টক্কর দেওয়া সম্ভব নয়।দিন কয়েক আগে বারাণসীতে কপালে চন্দন মেখে কাশী বিশ্বনাথের আরাধনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে নেপালে গিয়েও পুজো দিয়েছে পশুপতিনাথ মন্দিরে।
আরও পড়ুন- স্বাধীনতার পর প্রথম বিমানবন্দর সিকিমে, দেখে নিন ছবি