Delhi HC: 'দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ স্বেচ্ছায় একসঙ্গে থাকলে অন্য কেউ নাক গলাবে কেন!'
কোর্টের মত, পরিবারের অনিচ্ছায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক পরিবারের সদস্যদের ভয়ে প্রকাশ্যে আসতে ভয় পেলে সেটার বিহিত করতে হবে।
![Delhi HC: 'দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ স্বেচ্ছায় একসঙ্গে থাকলে অন্য কেউ নাক গলাবে কেন!' Delhi HC: 'দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ স্বেচ্ছায় একসঙ্গে থাকলে অন্য কেউ নাক গলাবে কেন!'](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/07/24/383338-delhihc.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোনও তৃতীয় ব্যক্তি নয়, নয় সংশ্লিষ্টের পরিবারের সদস্যও-- পরস্পর সম্মতিক্রমে সম্পর্কে আবদ্ধ দুই প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে কেউই নাক গলাতে পারেন না। স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করা দুই প্রাপ্তমনস্কের সম্পর্কে কেউই হস্তক্ষেপ করতে পারেন না-- এই মর্মে রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
কোর্টের পর্যবেক্ষণ হল, পরিবারের অনিচ্ছায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক পরিবারের সদস্যদের ভয়ে বিভিন্ন হোটেলে বাস করছেন, প্রকাশ্যে আসতে ভয় পাচ্ছেন। এই ধরনের এক মামলার সূত্রে বিচারক তুষার রাও গেদেলা বলেছেন, যদি পরস্পর সম্পর্কে আবদ্ধ কোনও কাপল তাঁদের ব্যক্তিজীবনে কোনও অনিশ্চয়তা অনুভব করেন, সেটা দেখা যে কোনও রাজ্যেরই দায়িত্ব। কেন বললেন এই কথা?
এ বিষযয়ে যে মামলা হয়েছে, সেখানে আবেদনকারী মহিলা বলেছেন, তাঁর বাবা উত্তর প্রদেশের রাজনৈতিক মহলে বেশ পরিচিত ও প্রভাবশালী মুখ। তিনি রাজনৈতিক মেশিনারিকে নিজের পক্ষে ব্যবহার করতেই পারেন। ফলে তিনি যখন পরিবারের অমতে একটা সম্পর্কের মধ্যে গেলেন পরিবারের রোষের মুখে সেটাকে সুস্থ ভাবে টিকিয়ে রাখা খুব কঠিন ছিল। ঠিক এই প্রেক্ষিতেই বিচারক বলেছেন, যদি ওই মহিলা বা একই রকমের সামাজিক বা পারিবারিক বঞ্চনার শিকার কোনও মহিলা এই সব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কাছে কোনও সাহায্য চান, তবে তাঁকে যেন সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের তরফে সাহায্য করা হয়।
আরও পড়ুন: Monkeypox In Delhi: এবার রাজধানীতে মাঙ্কিপক্স, ভারতের চতুর্থতম সংক্রমণ