'ফেল' ইউপিএ সরকারের শিক্ষার অধিকার আইন! পাস-ফেল ফিরিয়ে আনতে চাইছে মোদী সরকার, এখনও অন্ধকারেই রাস্তা
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাস-ফেল চালু হচ্ছে আবার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। আর তারই জেরে বিতর্ক দানা বাধছে । সকলের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা। সকলকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। এই উদ্দেশ্যই ছিল ইউপিএ সরকারের শিক্ষানীতির। সে কারণে শিক্ষাকে সহজ করে তুলতে চেয়েছিলেন আইন প্রণেতারা। ক্লাস এইট পর্যন্ত পাস ফেল তুলে দিয়ে শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্য নিয়েই দুহাজার দশে শিক্ষার অধিকার আইন তৈরি করে ইউপিএ সরকার।

ব্যুরো: অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাস-ফেল চালু হচ্ছে আবার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। আর তারই জেরে বিতর্ক দানা বাধছে । সকলের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা। সকলকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। এই উদ্দেশ্যই ছিল ইউপিএ সরকারের শিক্ষানীতির। সে কারণে শিক্ষাকে সহজ করে তুলতে চেয়েছিলেন আইন প্রণেতারা। ক্লাস এইট পর্যন্ত পাস ফেল তুলে দিয়ে শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্য নিয়েই দুহাজার দশে শিক্ষার অধিকার আইন তৈরি করে ইউপিএ সরকার।
ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এখন কমপ্রিহেনসিভ অ্যান্ড কিউমুলেটিভ ইভ্যালুয়েশন পদ্ধতি চালু রয়েছে। সেক্ষেত্রে পাস-ফেল আবার চালু হলে বিকল্প পদ্ধতি কী হবে?
পাস ফেল প্রথা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের মুখে ইউপিএ-র শিক্ষানীতি। শিক্ষার অধিকার আইন আনার পর স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়লেও, গত কয়েকবছরে উল্লেখযোগ্যভাবে পড়েছে শিক্ষার মান। কেন্দ্রের অ্যানুয়াল স্টেটাস অফ এডুকেশন রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রের অ্যানুয়াল স্টেটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট, ২০১৫-য় গত কয়েক বছরে ছয় থেকে চোদ্দ বছরের বয়সীদের মধ্যে শিক্ষা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় এই রিপোর্ট বলছে, গত কয়েক বছরে স্কুলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
২০০৭ সালে গোটা দেশে ৪.২% শিশু এবং এ রাজ্যের ৪.৮%শিশু স্কুলে যেত না। ২০১৪ সালে ৩.৩% শিশু স্কুলে যায়নি এবং এরাজ্যে এই সংখ্যাটা ৩.২%।
অ্যানুয়াল স্টেটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৭ সালে গোটা দেশে ৫৯.৪% এবং এ রাজ্যে ৭৫.১% ক্লাস ফাইভের ছাত্র যারা কমপক্ষে শব্দ পড়তে পারত। এই সংখ্যাটা অনেকটাই কমে দাঁড়িয়েছে। ২০১৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা দেশের ৪৯.২% এবং এ রাজ্যের ৫৬.৮% ক্লাস ফাইভের ছাত্র যারা কমপক্ষে শব্দ পড়তে পারে।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৭ সালে গোটা দেশে ৫৩.৮% এবং এ রাজ্যের ৫৭.২% ক্লাস সেভেনের ছাত্র যারা কমপক্ষে বাক্য পড়তে পারত। ২০১৪ সালে এই সংখ্যাটা কমে দাড়িয়েছে গোটা দেশের ক্ষেত্রে ৩৮.৮% এবং এ রাজ্যের ক্ষেত্রে ৩২.৯%।
২০০৭ সালে ভারতে ৪২.৪% এবং এ রাজ্যে ৬৪.১% ক্লাস থ্রি'র ছাত্র যারা অন্তত বিয়োগ করতে পারত। ২০১৪ সালে দেশে ২৫.৪% এবং এ রাজ্যে ৩৬.২% ক্লাস থ্রি'র ছাত্র যারা কমপক্ষে বিয়োগ করতে পারে।