Yogi Adityanath on Seema Haider: প্রেমিক সচিনকে ছেড়ে পাকিস্তানেই কি ফিরতে হবে সীমাকে? মুখ খুললেন আদিত্যনাথ
Yogi Adityanath on Seema Haider: পাবজি খেলতে খেলতেই সীমার সঙ্গে পরিচয় সচিনের। সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা ও বিয়ে করার সিদ্ধান্ত দুজনের। সীমা ও সচিন বর্তমানে রয়েছেন উত্তর প্রদেশের গৌতমবুদ্ধ নগরের রাবুপুরা গ্রামে
![Yogi Adityanath on Seema Haider: প্রেমিক সচিনকে ছেড়ে পাকিস্তানেই কি ফিরতে হবে সীমাকে? মুখ খুললেন আদিত্যনাথ Yogi Adityanath on Seema Haider: প্রেমিক সচিনকে ছেড়ে পাকিস্তানেই কি ফিরতে হবে সীমাকে? মুখ খুললেন আদিত্যনাথ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/08/01/431823-5.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রেমিক সচিন মিনার সঙ্গে থাকতে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছেন পাক গৃহবধূ সীমা হায়দার। তিনি চর কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। এনিয়ে তদন্ত করছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস। কোনওভাবেই পাকিস্তানে ফিরে যেতে চান না সীমা। এরকম এক পরিস্থিতি কী হবে সীমার? এনিয়ে এবার মুখ খুললেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
আরও পড়ুন-লড়াই এখনও জারি, বাইপ্যাপ সাপোর্ট ছাড়াই মাঝেমধ্যে শ্বাস নিচ্ছেন বুদ্ধবাবু
সীমা হায়দার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে তার স্বামী গুলাম হায়দারের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। দেশে ফেরত পাঠালে তাঁর জীবন বিপন্ন হতে পারে। তিনি সচিনের সঙ্গে থাকতে চান। পাশাপাশি সীমার আইনজীবীও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন সীমাকে যেন দেশে ফেরত পাঠানো না হয়। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এনিয়ে প্রশ্ন করা হয় যোগী আদিত্যনাথকে। জানতে চাওয়া হয় সীমা হায়দারকে কি দেশে ফেরত যেতে হবে? আদিত্যনাথ বলেন, এটি দুটি দেশের বিষয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা। তার যে রিপোর্ট দেবে তার উপরে নির্ভর করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তদন্ত সংস্থা মনে করলে সীমার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হোক, ব্রেন ম্যাপিং টেস্ট করা হোক।
পাবজি খেলতে খেলতেই সীমার সঙ্গে পরিচয় সচিনের। সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা ও বিয়ে করার সিদ্ধান্ত দুজনের। সীমা ও সচিন বর্তমানে রয়েছেন উত্তর প্রদেশের গৌতমবুদ্ধ নগরের রাবুপুরা গ্রামে। সেখানে এখন জোর গুজব সীমা এখন গর্ভবতী এবং সেই সন্তানের জনক সচিনই। কয়েকদিন আগেই সীমাকে নিয়ে চিকিত্সকের কাছে গিয়েছিলেন সচিন। সীমা একজন পাকিস্তানি চর কিনা তা নিয়ে তদন্ত করছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস। তার মধ্যেই এই খবর।
পাকিস্তানি গৃহবধূ সীমা হায়দারের প্রথম স্বামী গুলাম হায়দায়। তাদের ৩ মেয়ে ও ১ পুত্র সন্তান রয়েছে। সচিনের টানে চার সন্তানকে নিয়েই নেপাল চলে আসেন সীমা। সেখান থেকে সচিনের সঙ্গে ঢুকে পড়ে ভারতে। তারা বিয়েও করেছেন বলে দাবি দুজনের। ভারতে তাঁকে থাকতে দেওয়া হোক, সরকারের কাছে এমনটাই আবেদন জানিয়েছেন সীমা। কিন্তু তাঁকে সন্দেহের বাইরে রাখতে রাজি নয় তদন্ত সংস্থাগুলি। ফলে তাকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।
এদিকে, গৌতম বুদ্ধ নগরে নতুন ঘরে এসে বেশ কষ্টেই রয়েছেন সীমা-সচিন। ধীরে ধীরে দারিদ্র তাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। ভারতীয় লোকশক্তি কিষান মোর্চার প্রধান মাস্টার স্বরাজ সম্প্রতি তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, তাদের বাড়ির সামনে সর্বক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছে মিডিয়ার লোকজন। পরিস্থিতি এমনই যে বাইরে বেরিয়ে তারা খাবার কিনে আনবেন তারও জো নেই। পাশাপাশি তাদের উপরে নজর রেখে চলেছে পুলিস। তবে গ্রামের মানুষ তাদের পাশে রয়েছেন।