অভিযোগের টানাপোড়েনে লোকপাল
রাজ্যসভায় বৃহস্পতিবার পাস হয়নি লোকপাল বিল। আর শুক্রবার থেকেই ওই ঘটনায় ব্যর্থতার দায় কার, তা নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়ে গেছে দোষারোপের পালা। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিল আটকানোর জন্য পরিকল্পনা করেই শেষবেলায় একগুচ্ছ সংশোধনী প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি। উল্টোদিকে বিজেপির পাল্টা আক্রমণ, ওই ঘটনায় কংগ্রেসের বিশ্বাসয়োগ্যতা তলানিতে ঠেকেছে।
রাজ্যসভায় বৃহস্পতিবার পাস হয়নি লোকপাল বিল। আর আজ থেকেই ওই ঘটনায় ব্যর্থতার দায় কার, তা নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়ে গেছে দোষারোপের পালা। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিল আটকানোর জন্য পরিকল্পনা করেই শেষবেলায় একগুচ্ছ সংশোধনী প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি। উল্টোদিকে বিজেপির পাল্টা আক্রমণ, ওই ঘটনায় কংগ্রেসের বিশ্বাসয়োগ্যতা তলানিতে ঠেকেছে। সেই কারণেই কংগ্রেসের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই বলে মনে করে বিজেপি।
বিজেপি'র অভিযোগের জবাব কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেসও। ২৪ আকবর রোডের অভিযোগ, রাজ্যসভায় লোকপাল বিল পাশ করানোর কোনও অভিপ্রায়ই ছিল না বিরোধীদের। বিলটিকে আটকানোরই চেষ্টা করেছিল বিরোধীরা। যেজন্যই ১৮৭টি সংশোধনী আনা হয়। রাজ্যসভায় লোকপাল বিল পাশ না হওয়া প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের। বাজেট অধিবেশনের আগে কংগ্রেস তৃণমূলকে বোঝাতে সক্ষম হবে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিজেপির দাবি, দোষ বিরোধীদের ঘাড়ে চাপাতে গিয়ে আখেরে মুখোশ খুলে গিয়েছে কংগ্রেসেরই। আবার কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকারকে বিপাকে ফেলতে গিয়ে দেশের মানুষের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে বিজেপি।
তবে, একটা বিষয়ে দুই শিবিরেরই এক সুর। আগামী বাজেট অধিবেশনেই আসছে এই বিল। কিন্তু, সেই অধিবেশনের আগেই পাঁচ রাজ্যে বেজে যাচ্ছে নির্বাচনের দামামা। ফলে দুই শিবিরই যে নির্বাচনী প্রচারে লোকপালকে ইস্যু করবে তা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার।