আত্মহত্যার চেষ্টা করা অ্যাথলিটরা স্থিতিশীল, বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন ক্রীড়ামন্ত্রকের
আত্মহত্যার চেষ্টা করা অ্যাথলিটরা আপাতত স্থিতিশীল। কেরলের ক্রীড়া মন্ত্রকের নির্দেশে তদন্তের জন্য বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গড়া হয়েছে। দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেরলের ক্রীড়ামন্ত্রী সর্বনন্দ সোনোয়াল বলেন, আমরা ঘটনার তদন্তের স্বার্থে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছি। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য অ্যাথলিটদের সুস্থ করে তোলা।
![আত্মহত্যার চেষ্টা করা অ্যাথলিটরা স্থিতিশীল, বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন ক্রীড়ামন্ত্রকের আত্মহত্যার চেষ্টা করা অ্যাথলিটরা স্থিতিশীল, বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন ক্রীড়ামন্ত্রকের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2015/05/08/37720-saistable.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: আত্মহত্যার চেষ্টা করা অ্যাথলিটরা আপাতত স্থিতিশীল। কেরলের ক্রীড়া মন্ত্রকের নির্দেশে তদন্তের জন্য বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গড়া হয়েছে। দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেরলের ক্রীড়ামন্ত্রী সর্বনন্দ সোনোয়াল বলেন, আমরা ঘটনার তদন্তের স্বার্থে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছি। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য অ্যাথলিটদের সুস্থ করে তোলা।
কেরলে আলেপিতে সাই(SAI) সেন্টারে প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ৪ অ্যাথলিট। তাদের মধ্যেই মৃত্যু হয় অপর্ণা রামাভদ্রনের। খবর শুনেই সাইচে ছুটে যান কেরল সাইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল ইনজেতি শ্রীনিবাস। হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ অ্যাথলিটদের সঙ্গে দেখা করে ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দেন কেরলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রমেশ চেন্নিথালা। আলেপি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট সন্তোষ রাঘবন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, আত্মহত্যার চেষ্টা করা অ্যাথলিটদের আবস্থা সঙ্কটজনক হলেও স্থিতিশীল। ওনাদের হার্ট সচল রাখার সবকরম চেষ্টা করছি আমরা। এইমসের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
মৃত অপর্ণা গত ৫ বছর ধরে সাইয়ের ওয়াটার স্পোর্টস ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণরত ছিলেন। তার মা গীতা জানিয়েছেন হেনস্থার শিকার হওয়ার পরেও পারিবারিক অসুবিধার কারণে হোস্টেলেই থাকতেন অপর্ণা। স্থানীয় এক স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে পড়া ভাইয়ের ভবিষ্যতের জন্য একটা চাকরিক খুব প্রয়োজন ছিল তার। তার বাবা কেরলের একটি হাউজবোটে কাজ করেন, মা অঙ্গনওয়ারি কর্মী। গোটা পরিবারের ভরসা ছিল রাজ্যকে সম্মান এনে দেওয়া রোয়িং চ্যাম্পিয়ন অপর্ণার ওপর। মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে অপর্ণা তার মাকে বলেছিলেন, "মা আমাকে ক্ষমা করে দাও। বড় দিদিদের হেনস্থার কারণে আমি এটা করেছি। আমি কি বাঁচবো না?"
গীতা বলেন, "আমার মেয়ে গত ১৫ এপ্রিল বিষ্ণু উত্সব উপলক্ষে বাড়ি এসেছিল। তখন আমাকে জানায় সিনিয়রদের সঙ্গে একই ঘরে থাকা অসহনীয় হয়ে উঠছে। হস্টেল ওয়ার্ডেনকে জানানোয় ৩ মাসের মধ্যে তাকে অন্য ঘরে থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ওয়ার্ডেন। কিন্তু হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অপর্ণা আমাকে সত্যিটা জানায়। দু'জন সিনিয়র ওকে ক্রমাগত হেনস্থা করে চলছিল। তাই বাকি ৩ জন মেয়ের সঙ্গে বিষ খায় অপর্ণা।"