শশীকলাকে ফের দলে ফেরালেন জয়ললিতা
বহিষ্কারের সাড়ে তিন মাসের মধ্যেই নিজের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শশীকলাকে নটরাজনকে ফের দলে ফেরালেন জয়ারাম জয়ললিতা। শনিবার আম্মার নির্দেশে তামিল রাজনীতির `লিকার ব্যারনেস`কে এআইএডিএমকে`র সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হল।
বহিষ্কারের সাড়ে তিন মাসের মধ্যেই নিজের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শশীকলা নটরাজনকে ফের দলে ফেরালেন জয়ারাম জয়ললিতা। শনিবার আম্মার নির্দেশে তামিল রাজনীতির `লিকার ব্যারনেস`কে এআইএডিএমকে`র সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হল।
এআইএডিএমকে সুপ্রিমোর কোপে পড়ে গত ১৮ ডিসেম্বর দল থেকে বহিস্কৃত হন শশীকলা। শশীকলার সঙ্গেই তাঁর স্বামী এম নটরাজন, ভাইপো-দিনাকরণ ও বেঙ্কটেশ-সহ ১২ জন আত্মীয়কে দল থেকে তাড়ান আম্মা। বাদ পড়েননি শশীকলার আর এক ভাইপো ভি এন সুধাকরণও। একদা সুধাকরণকে নিজের দত্তক-সন্তান হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন এআইএডিএমকে সুপ্রিমো। কিন্তু নানা দুর্নীতিতে সুধাকরণের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন সময় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়তে হয় জয়ললিতাকে।
গত বছরের এপ্রিল মাসের তামিলনাড়ু বিধানসভা ভোটে জয়ললিতার কাছে টিকিট চেয়েও ব্যর্থ হন শশীকলা। এর পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল তাঁর। ভোটে এআইএডিএমকে`র বিপুল জয়ের পর শশীকলা বেশ কিছু বিধায়কের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে মিডিয়ায় খবর প্রচারিত হওয়ার পর তাঁকে নিজের পোয়েস গার্ডেনের বাসভবনেও ঢুকতে নিষেধ করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। এর পর ডিসেম্বর বহিষ্কার করা হয় শশীকলাকে।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে নিজের `কৃতকর্মের` জন্য ক্ষমা চেয়ে নিজের সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্থ আত্মীয় পরিজনের সংশ্রব ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন শশীকলা। এরপরই নাকি প্রাক্তন ছায়াসঙ্গিনী সম্পর্কে `পুরুত্চি থলাইভি`র মন নরম হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে এআইএডিএমকে`র ভরাডুবির পর জয়ললিতার নেতৃত্বগুণ নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছিলেন শশীকলা। পত্রপাঠ তাঁকে দরজা দেখিয়ে দেন আম্মা। অবশ্য এর কিছুদিনের মধ্যেই ঘনিষ্ঠ সহচরীকে দলে ফিরিয়ে নেন তিনি। ঠাঁই দেন, দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটিতে। ২০০১ সালের বিধানসভা ভোটে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর শশীকলার মালিকানাধীন মদ প্রস্তুতকারক সংস্থা `মিডাস`কে প্রভূত সাহায্য করেছিলেন জয়ললিতা। বিরোধী ডিএমকে`র তরফে অভিযোগ করা হয়, `মিডাস`-এ গোপন অংশীরারিত্ব রয়েছে আম্মার। পরবর্তী ডিএমকে জমানায় জয়ললিতার পাশাপাশি নানা দুর্নীতি কাণ্ডে মামলা করা হয় শশীকলার বিরুদ্ধেও।