নিত্য নতুন সিদ্ধান্ত বদলে বিভ্রান্ত আম জনতা, পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নামলেন জেটলি
কখনও টাকা তোলার উর্ধ্বসীমায় বিধি নিষেধ। কখনও টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে। মোদী সরকারের নিত্য নতুন সিদ্ধান্ত বদলে বিভ্রান্ত আম জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সাংবাদিক সম্মেলন করে বললেন, আম জনতার সুবিধে করতেই নিত্যনতুন নির্দেশিকা। আরও পড়ুন- শহিদ আফ্রিদির নাম লেখা জার্সি পরার অভিযোগে অসমে গ্রেফতার যুবক
![নিত্য নতুন সিদ্ধান্ত বদলে বিভ্রান্ত আম জনতা, পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নামলেন জেটলি নিত্য নতুন সিদ্ধান্ত বদলে বিভ্রান্ত আম জনতা, পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নামলেন জেটলি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2016/12/20/73678-arun-jetly.jpg)
ব্যুরো: কখনও টাকা তোলার উর্ধ্বসীমায় বিধি নিষেধ। কখনও টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে। মোদী সরকারের নিত্য নতুন সিদ্ধান্ত বদলে বিভ্রান্ত আম জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সাংবাদিক সম্মেলন করে বললেন, আম জনতার সুবিধে করতেই নিত্যনতুন নির্দেশিকা। আরও পড়ুন- শহিদ আফ্রিদির নাম লেখা জার্সি পরার অভিযোগে অসমে গ্রেফতার যুবক
পুরনো নোটে টাকা জমার ক্ষেত্রে সোমবারই নয়া নির্দেশিকা জারি করে RBI। বলা হয় ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরনো নোটে ৫০০০ টাকার বেশি জমা করতে চাইলে তা একবারই করা যাবে। সেক্ষেত্রেও ব্যাঙ্কের দুই কর্মীর প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর পাওয়ার পর। তা নিয়ে শুরু হয় ধন্ধ। ৫০০০ টাকার কম জমা দিতে গেলেও কি ব্যাঙ্ককর্মীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। মঙ্গলবার সাফাই দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বললেন, ব্যাঙ্কের সামনে ভিড় কমাতেই এই সিদ্ধান্ত।
কিন্তু, তাতে চিঁড়ে ভিজছে না। নোট বাতিলের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই টাকা তোলা বা জমার ক্ষেত্রে নয়া নয়া নিয়ম চালু করছে কেন্দ্র। কেন এতবার মত বদল? বিরোধীরা বলছেন, কালো টাকা উদ্ধারে আদতে ব্যর্থ মোদী সরকার। আর তা ঢাকতেই বারবার সিদ্ধান্ত বদল।
নোট বাতিলের আগে ৫০০/১০০০ টাকার নোটে যে পরিমান টাকা বাজারে ছিল তার বেশিরভাগটাই ব্যাঙ্কে ঢুকে গেছে। আর ঠিক এখানেই সরকারকে চেপে ধরেছে বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, তাহলে যে বিপুল কালো টাকা উদ্ধারের স্বপ্ন মোদী দেখিয়েছিলেন তার কি হল?
বিরোধীদের তোপ, ব্যাঙ্কে ইতিমধ্যেই ১৪ লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়ে যাওয়া আর টাকা ঢুকতে দিতে চায় না মোদী সরকার। সেজন্য ৫০০০ হাজার টাকার বেশি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে জারি হচ্ছে কড়া বিধিনিষেধ। গোদের ওপর বিষফোঁড়া একটি RTI রিপোর্ট। তথ্যের অধিকার আইনে RBI-র কাছে ৫০০-১০০০-র নোটে জমা মোট টাকার পরিমান জানতে চান এক ব্যক্তি। RBI-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাতিল নোটে টাকার মূল্য ২০ লক্ষ কোটিরও বেশি। কেন্দ্রের দেওয়া অঙ্কের সংখ্যা ফারাকটা প্রায় ৩০শতাংশ। RBI-র নির্দেশ, মন্ত্রীদের বয়ান ব্যাঙ্ক কর্তাদের দাবি বহুক্ষেত্রেই তথ্যের বিস্তর ফারাক। ফলে বিভ্রান্ত আমজনতা। আর তা কাটাতেই মঙ্গলবার ফের সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী। কিন্ত, তাতে ধন্ধ কাটল কি?