গুজব-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী মেসেজ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিন, সোশ্যাল মিডিয়াগুলিকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের
ছেলেধরা বা গোরু পাচারকারী সন্দহে হত্যার ঘটনার ক্ষেত্রে গুজব ছড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে বারেবারেই। এনিয়ে সরকার আগেই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলিকে সাবধান করেছিল
![গুজব-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী মেসেজ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিন, সোশ্যাল মিডিয়াগুলিকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের গুজব-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী মেসেজ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিন, সোশ্যাল মিডিয়াগুলিকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/10/25/149922-88.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: সোশ্যাল মিডিয়াগুলির বিরুদ্ধে ফের কড়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ইউটিউব, ইন্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডয়ায় যাতে কোনওরকম গুজব না ছাড়ায় তার ব্যবস্থা করতে বলল সরকার।
আরও পড়ুন-৩ মাসের মধ্যেই খুলবে সাঁতরাগাছির নতুন ওভারব্রিজ
এনিয়ে ওইসব সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকদের একটি বৈঠক হয় বুধবার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ওই বৈঠকে তাদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ওইসব সাইটের মাধ্যমে যে কোনও ধরনের গুজব, প্ররোচনামূলক বিষয়বস্তু ছড়িয়ে না পড়তে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে সাইটগুলিকেই। পাশাপাশি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়াকে বলা হয়েছে তদন্তের প্রয়োজনে যে কোনও তথ্য ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে দিতে হবে। এনিয়ে কোনও গড়িমসি চলবে না।
উল্লেখ্য, ছেলেধরা বা গোরু পাচারকারী সন্দহে হত্যার ঘটনার ক্ষেত্রে গুজব ছড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে বারেবারেই। এনিয়ে সরকার আগেই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলিকে সাবধান করেছিল। তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ওইসব মিডিয়ায় একজন পাবলিক গ্রিভান্স অফিসার রাখতে হবে। এতদিন তা মানাতে নারাজ ছিল ওইসব সংস্থা। এবার তাদের ওপরে আরও চাপ তৈরি হল।
আরও পড়ুন-মায়ের অসাবধানতায় ২২ দিনের শিশু গিলল সেফটিপিন!
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়াকে যাতে কোনও বেআইনি কাজে ব্যবাহার করা না যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে ওইসব সংস্থাকে। প্রসঙ্গত, এদিন ওই বৈঠকে যোগ দেন, ফেসবুক, গুগল, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামের প্রতিনিধিরা। তাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়, এতদিন গুজব ছড়ানো রুখতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে কোনও খবর বা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক কোনও বিষয়বস্তু রুখতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয় ওই বৈঠকে।