সময়ের কাঁটা বন্ধ করে বিদায় নিচ্ছে এইচএমটি
বন্ধ হচ্ছে ঘড়ির কাঁটা। অবসান হচ্ছে একটা যুগের। আর বাজারে মিলবে না এইচএমটি ব্র্যান্ডের ঘড়ি। স্মৃতির সরণী বেয়ে এগিয়ে গেলেই অধিকাংশ ভারতীয় পরিবারের ভাঁড়ারে খুঁজে পাওয়া যাবে অজস্র 'এইচএমটি মুহূর্ত', প্রথমভার কব্জীতে সময়কে নিয়ে ঘোরার স্মৃতি।
![সময়ের কাঁটা বন্ধ করে বিদায় নিচ্ছে এইচএমটি সময়ের কাঁটা বন্ধ করে বিদায় নিচ্ছে এইচএমটি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2014/09/12/29135-hmt.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: বন্ধ হচ্ছে ঘড়ির কাঁটা। অবসান হচ্ছে একটা যুগের। আর বাজারে মিলবে না এইচএমটি ব্র্যান্ডের ঘড়ি। স্মৃতির সরণী বেয়ে এগিয়ে গেলেই অধিকাংশ ভারতীয় পরিবারের ভাঁড়ারে খুঁজে পাওয়া যাবে অজস্র 'এইচএমটি মুহূর্ত', প্রথমভার কব্জীতে সময়কে নিয়ে ঘোরার স্মৃতি।
ট্রেন্ড সেটার ৫৩ বছরের পুরনো এই ঘড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা বর্তমানে ক্রেতার অভাবে ধুঁকচে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে অনান্য কোম্পানী গুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে পড়তে বিলোপের ঘূর্নিপাকের কাছেই মাথানত করতে চলেছে এই সংস্থা।
১৯৬১ সালে জাপানী কোম্পানী সিটিজেন ওয়াচের সঙ্গে জুটি বেঁধে পথ চলা শুরু করেছিল রাষ্ট্রায়ত্ব এই সংস্থাটি। নিজেদের সেরা সময়ে এইচএমটির কাছে পাত্তা পায়নি তৎকালীন ভারতে প্রচলিত নামী দামি বিদেশি ঘড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা গুলিও।
সত্যি হলেও স্বীকার করতে বাধা নেই নিজেদের সেরা সময় বহুদিনী অতিক্রম করে এসেছে এইচএমটি। প্রযুক্তি ও নিত্য নতুন ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে ভারতের ঘড়ি বাজারে আধিপত্য কায়েম করেছে বহু দেশী বিদেশী সংস্থা। বড় বড় বেসরকারী সংস্থা গুলির সঙ্গে বাজার দখলের খেলায় হার মেনেছে এইচএমটি।
নয়া প্রজন্ম আর হয়ত কোনও দিন তাদের কব্জীতে এইচএমটি ঘড়ির ঐতিহ্যকে বেঁধে রাখতে পারবে না, কিন্তু স্মৃতির পৃথিবীতে চিরকাল রয়ে যাবে এর আবেশ।