শিক্ষা কখনই পণ্য নয়, ছাত্রের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানাল কনজিউমার ফোরাম
শিক্ষা কখনই পণ্য (কমোডিটি) নয়, এমনটাই জানাল দিল্লির কনজিউমার ফোরাম। চাকরি বা ইন্টার্নশিপের সুযোগ না পেয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দিল্লির ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক ছাত্র। কিন্তু সেই আবেদন পাওয়া মাত্র দফতরের তরফ থেকে ওই ছাত্রকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কখনই কোনও পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা (সার্ভিস প্রোভাইডার) নয়। ফলে ছাত্রের রুজু করা অভিযোগ মোটেই ক্রেতা সুরক্ষা আইনে বিচার যোগ্য নয়। ওই ছাত্র তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের থেকে ৪০ হাজার টাকা ফেরতও (ফি রিটার্ন) চেয়েছিলেন।
ওয়েব ডেস্ক: শিক্ষা কখনই পণ্য (কমোডিটি) নয়, এমনটাই জানাল দিল্লির কনজিউমার ফোরাম। চাকরি বা ইন্টার্নশিপের সুযোগ না পেয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দিল্লির ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক ছাত্র। কিন্তু সেই আবেদন পাওয়া মাত্র দফতরের তরফ থেকে ওই ছাত্রকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কখনই কোনও পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা (সার্ভিস প্রোভাইডার) নয়। ফলে ছাত্রের রুজু করা অভিযোগ মোটেই ক্রেতা সুরক্ষা আইনে বিচার যোগ্য নয়। ওই ছাত্র তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের থেকে ৪০ হাজার টাকা ফেরতও (ফি রিটার্ন) চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- সেনা দিবসের ইতিকথা
দিল্লি কনজিউমার ফোরামের এই পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে দাবি শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিদের মতে। কারণ, বর্তমানে যেভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের প্রচার চালায় তাতে অনেক সময়ই শিক্ষাকে 'পণ্য' বলেই মনে হয় অনেকের। বিশেষত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিজ্ঞাপনে ফলাও করে উল্লেখ করে তাদের প্রতিষ্ঠানের একাধিক সুযোগ সুবিধার কথা। থাকে বিভিন্ন কোর্সে ডিসকাউন্টের বিষয়টিও। এর পাশাপাশি বহু ক্ষেত্রেই কোর্স শেষে চাকরি পাওয়ার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের তরফে বিশেষ সাহায্যের (ক্যাম্পাসিং) কথাও উল্লিখিত থাকে। ফলে, কনজিউমার ফোরামের এই সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ যে নিঃসন্দেহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এবং শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছাত্র, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদেরকেও নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে সে বিষয়ে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।