সন্ত্রাস বিরোধী ইউএপিএ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি কংগ্রেসের
রাজ্যসভায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পি চিদাম্বরম এই বিলের বিরোধিতা করে জানান, এই বিল রাজ্যসভায় পাস হলে, কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টে যাবে। বিল পাস হওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে তাঁর এই বিবৃতি
![সন্ত্রাস বিরোধী ইউএপিএ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি কংগ্রেসের সন্ত্রাস বিরোধী ইউএপিএ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি কংগ্রেসের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/08/02/202948-pchidambaram.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিরোধীদের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও শেষমেশ পাস হয়ে গেল ‘বেআইনি কার্যকলাপ সংশোধনী বিল’ বা ইউএপিএ। অর্থাত্ এ বার শুধু সংগঠন নয় যে কোনও ব্যক্তিকে সন্ত্রাসে সক্রিয়ভাবে জড়িত কিংবা প্ররোচনা দিলে তাঁকে ‘জঙ্গি’ হিসাবে গণ্য করা হবে। কেন্দ্রের এই সংশোধনীতে আপত্তি জানান বিরোধীরা। তাঁদের যুক্তি, এই আইনি অপব্যবহার করার সম্ভাবনা বেশি। এই আইন অসংবিধানিক আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধীরা।
রাজ্যসভায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পি চিদাম্বরম এই বিলের বিরোধিতা করে জানান, এই বিল রাজ্যসভায় পাস হলে, কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টে যাবে। বিল পাস হওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে তাঁর এই বিবৃতি। তবে, কংগ্রেস সত্যিই কি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কিনা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। বেশ কিছুদিন আটকে থাকার পর শুক্রবার ভোটাভুটির জন্য রাজ্যসভায় আানা হয় বিলটি। এটির পক্ষে ভোট পড়ে ১৪৭ এবং বিপক্ষে পড়ে মাত্র ৪২ ভোট। সংসদের সিলেক্ট কমিটিতে যাওয়ার বিষয়টিও রাজ্যসভায় খারিজ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন- অযোধ্যা মামলায় ব্যর্থ মধ্যস্থতার চেষ্টা, ৬ আগষ্ট থেকে শুনানি সুপ্রিম কোর্টে
কী রয়েছে এই বিলে? ইউএপিএ সংশোধনী বিল অনুযায়ী এখন থেকে সন্ত্রাসে জড়িত কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি তকমা দেওয়া যাবে। এনিয়ে আপত্তি তুলেছিল বিরোধীরা। পি চিদম্বরমের বক্তব্য ছিল, কোনও সংগঠনকে যখন নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সুযোগ রয়েছে তখন কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি ঘোষণা কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর দেন অমিত শাহ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসের সঙ্গে লড়াই করাই এই আইনের উদ্দেশ্য। এর পেছনে অন্য কোনও কারণ নেই। কোনও সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিলেই সমস্যার সমাধান হয় না। একটা জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ করে দিলে অন্য একটি গজিয়ে যায়। তার মাথা হয়ে যায় আগের সংগঠনের প্রধান। কতদিন পর্যন্ত কোনও সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে যাবে সরকার? ফলে কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি তকমা দিলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।