Twitter-এ ভুয়ো সংবাদ, আটকাতে পারল না কেন্দ্রীয় সরকারও
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে এক মুসলিম বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রঙ লাগিয়ে তা টুইটারে পোস্ট করা হয়।
![Twitter-এ ভুয়ো সংবাদ, আটকাতে পারল না কেন্দ্রীয় সরকারও Twitter-এ ভুয়ো সংবাদ, আটকাতে পারল না কেন্দ্রীয় সরকারও](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/06/17/326841-tw.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: সংবাদের ক্ষেত্রে সত্য ও মিথ্যা যাচাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক থেকে বড় ধাক্কা খেল টুইটার৷ জি নিউজের এডিটর ইন চিফ সুধীর চৌধুরী বুধবার এই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করেন যেখানে দেখা যাচ্ছে টুইটারের মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়লেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তা আটকানো যায়নি।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে এক মুসলিম বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রঙ লাগিয়ে তা টুইটারে পোস্ট করা হয়। এই ঘটনা বহু সাংবাদিকও শেয়ার করেন। এরপরই টুইটারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়৷ কারণ সেই ভুয়ো টুইট এখনও সরায়নি টুইটার৷
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা না মানায় বুধবার থেকেই টুইটারের আইনি রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। যার জেরে এখন থেকে আর তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ ধারায় কোনও আইনি সহয়তা পাচ্ছে না মাইক্রোব্লগিং সাইটটি।
আরও পড়ুন, হেল্পলাইনে সন্দেহজনক ফোন কলের পর এবার ফিশিং ইমেল, অফিসারদের সতর্ক করল সেনাবাহিনী
এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের নতুন আইটি বিধি মেনে না চলার কারণেই, সোশাল মিডিয়া মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কোনও তৃতীয় পক্ষের কনটেন্ট প্রকাশের বিষয়ে সুরক্ষাকবচ হারিয়েছে সংস্থাটি। আর এই প্রথমবার টুইটারের বিরুদ্ধে ভারতে এফআইআর দায়ের হল।
মুসলিম বৃদ্ধকে মারধর-নিগ্রহের ঘটনা রং চড়িয়ে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করার অপরাধে সাংবাদিক মহম্মদ জুবের এবং রানা আয়ুব, কংগ্রেসের সলমান নিজামি, শমা মহম্মদ, মাসকুর উসমানি, লেখিকা সাবা নাকভি, দ্য ওয়্যার পোর্টালের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রেও টুইটারকেই দোষী বানান হয়েছে।
কেন কন্টেন্ট না দেখে, পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ না করেই ইউজারদের এই কাজ করতে দিচ্ছে টুইটার তা নিয়ে উঠেছে জোরালো প্রশ্ন।