‘প্রি ওয়েডিং’ -এর মঞ্চে অতি উচ্ছ্বাসের বলি হলেন খোদ পাত্রই!
সুইজারল্যান্ড থেকে হরিয়ানার কৈথালের পাত্রীকে বিয়ে করতে এসেছিলেন বিক্রমজিত্ সিং। সোমবার তাঁদের বিয়ে ছিল। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা।
![‘প্রি ওয়েডিং’ -এর মঞ্চে অতি উচ্ছ্বাসের বলি হলেন খোদ পাত্রই! ‘প্রি ওয়েডিং’ -এর মঞ্চে অতি উচ্ছ্বাসের বলি হলেন খোদ পাত্রই!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/01/01/104004-groom.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: একে বর্ষবরণের রাত। তারওপর বছরের প্রথম দিনই এক হতে চলেছে চার হাত। তাও আবার সুদূর সুইজারল্যান্ড থেকে এসেছেন প্রবাসী পাত্র। বাধনভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন সকলেই। চলছিল হুল্লোড়, নাচগান। কিন্তু এক লহমায় সব স্তব্ধ। বিয়ের ঠিক এক দিন আগেই মণ্ডপের মধ্যে প্রকাশ্যেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল পাত্রের।
আরও পড়ুন: কেবল তিন তালাক নিষিদ্ধ করলেই চলবে না, দাবি মুসলিম সত্যশোধক মণ্ডলের
সুইজারল্যান্ড থেকে হরিয়ানার কৈথালের পাত্রীকে বিয়ে করতে এসেছিলেন বিক্রমজিত্ সিং। সোমবার তাঁদের বিয়ে ছিল। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। বর্ষশেষের রাতে ছিল বিক্রমজিতের ‘প্রি-ওয়েডিং সেলিব্রেশন’। বসেছিল নাচ ও গানের আসর। যজ্ঞও হচ্ছিল। আনন্দে মেতেছিলেন পাত্র নিজেও। আচমকাই এক আত্মীয় বন্দুক থেকে গুলি ছোড়েন। গুলি গিয়ে লাগে পাত্রের গায়ে। আহত হন পাত্রের আরও এক আত্মীয়।
আরও পড়ুন:‘এত জওয়ানের কুরবানি, কিছু একটা করুন’, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্তি শহিদপুত্রের
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে চণ্ডীগড়ের পিজিআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বিক্রমজিতের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কৈথাল পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, ৩১২ বোর বন্দুকটি সুরেন্দর নামে এক ব্যক্তির ও সেটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সবাই যখন অনুষ্ঠানে নাচে মত্ত ছিলেন, তখন ভিড়ের মাঝে আচমকাই শূন্যে গুলি চালিয়েছিলেন সুরেন্দর। যদিও অনুষ্ঠানের ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। আইপিসি ৩০৪ ও ৩০৮ ধারায় রুজু হয়েছে মামলা।