Bengaluru Engineer Suicide: গাড়িতে লেখা 'ভেতরে রয়েছে বিষাক্ত গ্যাস', দরজা খুলতেই চমকে গেল পুলিস
গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনের সামনে একটি নোট লিখে রাখেন। সেখানে লেখেন, পুলিস ছাড়া আর কেউ গাড়ির দরজা খুলবেন না। কারণ গাড়ির ভেতরে বিষাক্ত গ্যাস রয়েছে
![Bengaluru Engineer Suicide: গাড়িতে লেখা 'ভেতরে রয়েছে বিষাক্ত গ্যাস', দরজা খুলতেই চমকে গেল পুলিস Bengaluru Engineer Suicide: গাড়িতে লেখা 'ভেতরে রয়েছে বিষাক্ত গ্যাস', দরজা খুলতেই চমকে গেল পুলিস](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/12/21/401095-7.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পার্কের পাশে দাঁড় করানো একটি গাড়ি। সেটি বিছানার চাদর দিয়ে ঢাকা। পথচলতি লোকজন ফোড ইকোস্পোট গাড়িটির কাছে যাচ্ছেন বটে কিন্তু কয়েক মুহূর্তেই ছিটকে চলে আসছেন। শেষপর্যন্ত খবর গেল পুলিস। গাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক ইঞ্জিনিয়ারের মৃতদেহ। গাড়িতে থাকা একটি নোট দেখে চমকে গেলেন সকলে। এমন এক ঘটনায় শোরগোল বেঙ্গালুরুতে।
আরও পড়ুন-মেসি জেতার আনন্দে পার্টি, তারপরই আত্মহত্যা 'বিষন্ন' কিশোরীর
ওই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিজয় কুমার নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিস। কীভাবে এমন ঘটনা? পুলিসের তদন্তে উঠে এসেছে, গাড়ির ভেতরে পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোট। সেখান থেকেই পুরো ঘটনা সমানে এসেছে।
শারীরিক অসুস্থার জন্য হতাশায় ভুগছিলেন বিজয় কুমার। তারপরই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কুমার একটি নাইট্রোজেন সিলিন্ডার গাড়িতে তোলেন। তারপর অফিস যাওয়ার পরিবর্তে তিনি গাড়িটি নিয়ে হাজির হন একটি পার্কের পাশে। সেখানে তিনি গাড়িটিকে বিছানার চাদর দিয়ে ঢেকে দেন। তারপর গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনের সামনে একটি নোট লিখে রাখেন। সেখানে লেখেন, পুলিস ছাড়া আর কেউ গাড়ির দরজা খুলবেন না। কারণ গাড়ির ভেতরে বিষাক্ত গ্যাস রয়েছে।
গাড়িটিকে পার্কের পাশে দাঁড় করিয়ে রেখে পেছনের সিটে চলে যান বিজয়। তারপর নাইট্রোজেন সিলিন্ডারের নজেল খুলে দেন। এরপর যা হওয়ার তাই হয়েছে। গাড়ি ভরে গিয়েছে নাইট্রোজেন গ্যাসে। আর সেই গ্যাসেই মৃত্যু হয় বিজয় কুমারের। বেঙ্গালুরুর নর্থের ডেপুটি পুলিস কমিশনার ভি পাটিল সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হার্টের সমস্যা ছিল বিজয়ের। সেই চাপেই হতাস হয়ে পড়েন তিনি। তা থেকেই গাড়িকে গ্যাস চেম্বারে পরিণত করে আত্মঘাতী হন।