অস্ত্র ছেড়ে মূলস্রোতে ফিরতে বলুন সন্তানদের, না হলে মরতে হবে, কাশ্মীরি মায়েদের অনুরোধ সেনার
কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের কাছে সেনার অনুরোধ, এনকাউন্টার চলাকালীন ও তার পর ঘটনাস্থলের থেকে দূরে থাকুন। এতে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
![অস্ত্র ছেড়ে মূলস্রোতে ফিরতে বলুন সন্তানদের, না হলে মরতে হবে, কাশ্মীরি মায়েদের অনুরোধ সেনার অস্ত্র ছেড়ে মূলস্রোতে ফিরতে বলুন সন্তানদের, না হলে মরতে হবে, কাশ্মীরি মায়েদের অনুরোধ সেনার](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/02/19/176499-pc-sena.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু-কাশ্মীরের বিপথগামী যুবকদের মূলস্রোতে ফেরাতে উদ্যোগী হল ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তাবাহিনী। মঙ্গলবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেনার তরফে এই উদ্যোগের কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় কীভাবে সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা? চাঞ্চল্যকর তথ্য
সেনার তরফে অনুরোধ করা হয় কাশ্মীরের সমস্ত মায়েদের কাছে। সেনার অনুরোধ, কাশ্মীরের মায়েরা যেন তাঁদের সন্তানদের বোঝান, যাতে তারা সন্ত্রাসবাদের পথ ছেড়ে দেয়। ফিরে আসে মূলস্রোতে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলার ফিদায়েঁ জঙ্গি কাশ্মীরের বাসিন্দা ছিল। কাশ্মীরের যুবকদের ভুল বুঝিয়ে সন্ত্রাসের পথে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বারবার ওঠে।
আরও পড়ুন: ১৮ ঘণ্টার লড়াই শেষ, খতম পুলওয়ামা হামলার মূলচক্রী কামরান-সহ ৩ জঙ্গি, শহিদ ৫
সেনা-প্রশাসনের তরফে নানা উদ্যোগ নিয়ে বিপথগামী যুবকদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। পুলওয়ামা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেই উদ্যোগকে আরও গতি দেওয়া হল সেনার তরফে।
তবে একই সঙ্গে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে সেনার তরফে। তারা জানিয়েছে, সন্ত্রাসের পথ না ছাড়লে কড়া মূল্য চোকাতে হবে জঙ্গিদের। প্রত্যেককেই মেরে ফেলা হবে।
পুলওয়ামার হামলায় যেমন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছেন, তেমনই আহত হয়েছেন অনেকে। আহতরা জওয়ানরা চিকিত্সায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানানো হল ওই সাংবাদিক বৈঠকে।
পুলওয়ামার হামলার পর সেখানে একটি অপরাশেন হয়েছে। সেই অপারেশনে এনকাউন্টারে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছেন। কয়েকজন সেনা আধিকারিক শহিদ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা: পাকিস্তানকে টমেটো বিক্রি বয়কট করল মধ্যপ্রদেশের চাষিরা
সেকথা উল্লেখ করে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের কাছে সেনার অনুরোধ, এনকাউন্টার চলাকালীন ও তার পর ঘটনাস্থলের থেকে দূরে থাকুন। এতে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়তে পারে।