সেনাপ্রধানের বয়স বিতর্ক, কেন্দ্রের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট
বয়স বিতর্ক নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে প্রাথমিকভাবে কিছুটা এগিয়ে গেলেন সেনাপ্রধান ভি কে সিং। যেভাবে সেনাপ্রধানের অভিযোগ কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক খারিজ করে দিয়েছিল, তা নিয়ে আজ উষ্মা প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
বয়স বিতর্ক নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে প্রাথমিকভাবে কিছুটা এগিয়ে গেলেন সেনাপ্রধান ভি কে সিং। যেভাবে সেনাপ্রধানের অভিযোগ কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক খারিজ করে দিয়েছিল, তা নিয়ে আজ উষ্মা প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। এই ৭ দিনের মধ্যে কেন্দ্রকে অবস্থান স্পষ্ট করতেও নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। গত ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্র যে নির্দেশিকা জারি করেছিল, তা প্রত্যাহার করে নিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক প্রস্তুত রয়েছে কিনা, তাও জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল সেনাপ্রধানের জন্মতারিখ ১৯৫০ সালের ১০ মে। যদিও, জেনারেল বিজয় কুমার সিংয়ের বক্তব্য, তাঁর জন্মতারিখ ১৯৫১ সালের ১০ মে। আসলে সরকারি রেকর্ডে জেনারেল ভি কে সিংয়ের বয়স সংক্রান্ত দু`রকম তথ্য নথিভুক্ত থাকার কারণেই এই বিভ্রান্তি। তার জন্য অনেকাংশে দায়ী সেনাপ্রধান স্বয়ং। তাঁর ম্যাট্রিকুলেশন সার্টিফিকেটে জন্ম তারিখ হিসেবে ১৯৫১ সালের ১০ মে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী কালে ইউপিএসসি`র প্রবেশিকা পরীক্ষায় তিনি নিজের জন্ম তারিখ হিসেবে ১৯৫০ সালের ১০ মে তারিখের উল্লেখ করেন। পরে এবং সেনাবাহিনীর পার্সোনেল বিভাগে `করণিক ত্রুটি`র কারণে একই `ভুল` থেকে যায়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেনাবাহিনীর পার্সোনেল বিভাগের দেওয়া তথ্যটিকেই প্রামাণ্য বলে মনে করছে। এই হিসেবে চলতি বছরের ৩১ মে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। কিন্তু অবসর গ্রহণে নারাজ জেনারেল সিংয়ের দাবি, ম্যাট্রিকুলেশনের শংসাপত্রে তাঁর প্রকৃত বয়স উল্লিখিত হয়েছে। এই হিসেবে তাঁর অবসর গ্রহণের দিন, ২০১৩-র ৩১ মে।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সঙ্গে বিরোধ চরমে ওঠে সেনাপ্রধানের। আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি বয়স বিতর্ক সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ক্রান্ত একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছিল। কারণ তার আগে গত ১৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জেনারেল ভি কে সিং নিজেই সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন। এ বিষয়ে সেনাপ্রধান যাতে একতরফা ভাবে নিজে পক্ষে রায় না পান, সে জন্য কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে একটি ক্যাভিয়েট`ও দাখিল করা হয়েছিল।