CAA বিরোধীদের বিরুদ্ধে লখনউ জুড়ে পোস্টার, খোদ মামলা করলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

নজিরবিহীনভাবে ছুটির দিনে রবিবার শুনানি শুনলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর। সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপকে তীব্র ভর্তসনা করেন তিনি। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এভাবে সরকার ব্যক্তিগত পরিসর এবং স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না

Updated By: Mar 8, 2020, 06:16 PM IST
CAA বিরোধীদের বিরুদ্ধে লখনউ জুড়ে পোস্টার, খোদ মামলা করলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: হোর্ডিং পড়েছে CAA-বিরোধী প্রতিবাদীদের নামে। গত বছর ডিসেম্বরে তাণ্ডব চালানো এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। এমন ৫৬ জনের নাম, পরিচয় তো রয়েছেই, তাতে লেখা আছে, ক্ষতিপূরণ না দিতে পারলে, বাজেয়াপ্ত করা হবে তাঁদের সম্পত্তি। সেই তালিকায় রয়েছেন সমাজকর্মী-রাজনীতিবিদ সদফ জাফর, আইনজীবী মহম্মদ শোহেব, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এসআর দারাপুরীরা। যোগী সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপে খোদ উত্তর প্রদেশ হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা করল।

নজিরবিহীনভাবে ছুটির দিনে রবিবার শুনানি শুনলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর। সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপকে তীব্র ভর্তসনা করেন তিনি। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এভাবে সরকার ব্যক্তিগত পরিসর এবং স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। শুনানি শুরু আগে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাওয়া হয়। তবে, রায়দান স্থগিত রাখা হয়। আগামিকাল দুপুর ২টো নাগাদ রায় দিতে পারে আদালত।

আরও পড়ুন- সন্ত্রাসপ্রেমী-শরণার্থী বিরোধী মমতা! দশদফা ‘চার্জশিট’ হাতে নিয়ে ময়দানে নামছে বিজেপি

এ দিন সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল বক্তব্য রাখেন। সূত্রের খবর, যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রক থেকেই হোর্ডিং দেওয়ার নির্দেশ আসে। কিন্তু অ্যাডভোকেট জেনারেলের সাফাই, জনস্বার্থে এই হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রচার বলেই তাঁর দাবি। ওই তালিকায় নাম থাকা সদফ জাফর জানান, সরকারের ধরনের পদক্ষেপ অনৈতিক। অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। দীপক কবিরের কথায়, “আমাদের গ্রেফতার করা হয়। নিগৃহীত করা হয়। এমনকি জেলেও পোরা হয়েছে। জেল থেকে জামিন পেয়েছি। সরকার নতুন খেলা খেলতে চাইছে।”   

.