৭০ কিলোমিটার হেঁটে, একটা ২০০০-এর নোট নিয়ে বাড়ি ফিরলেন চাষী
দরকার ২০,০০০ টাকা, চাষী পেলেন মাত্র ২,০০০। সময় লাগল ৯৬ ঘণ্টা। প্রথম দিন, বাড়ি থেকে বেরিয়ে ১০ কিলোমিটার হেঁটে সব থেকে কাছের ব্যাঙ্কে এসে পৌঁছলেন, লাইন দিলেন, কাউন্টারের সামনে আসতে না আসতেই ব্যাঙ্ক বন্ধ। পরের দিন আবারও একই ঘটনা। রোজ আসছেন, রোজ ফিরে যাচ্ছেন। কেটে গেল ৯৬ ঘণ্টা। ২ ঘণ্টা হেঁটে আসছেন আর খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। রাস্তার পর রাস্তা কেবল এটা ভেবেই ব্যাঙ্কে এসছেন, টাকাটা পেলে বাড়ি নিয়ে যাবেন, সংসার চালাবেন। অবশেষে আশা পূরণ। কাউন্টারে এলেন, তবে যা ভেবে এসছিলেন তার সিকি ভাগও মিলল না। কাউন্টার থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, "২০০০ টাকার বেশি কাউকে দেওয়া হবে না"। সেটাও আবার একটাই ২০০০ টাকার নোট!! কোনও উপায় না পেয় গোলাপি রঙের একটিমাত্র ২০০০ টাকার নতুন নোট নিয়ে বাড়ি ফিরলেন উত্তরপ্রদেশের ওই চাষী।
![৭০ কিলোমিটার হেঁটে, একটা ২০০০-এর নোট নিয়ে বাড়ি ফিরলেন চাষী ৭০ কিলোমিটার হেঁটে, একটা ২০০০-এর নোট নিয়ে বাড়ি ফিরলেন চাষী](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2016/11/18/70662-farmer.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: দরকার ২০,০০০ টাকা, চাষী পেলেন মাত্র ২,০০০। সময় লাগল ৯৬ ঘণ্টা। প্রথম দিন, বাড়ি থেকে বেরিয়ে ১০ কিলোমিটার হেঁটে সব থেকে কাছের ব্যাঙ্কে এসে পৌঁছলেন, লাইন দিলেন, কাউন্টারের সামনে আসতে না আসতেই ব্যাঙ্ক বন্ধ। পরের দিন আবারও একই ঘটনা। রোজ আসছেন, রোজ ফিরে যাচ্ছেন। কেটে গেল ৯৬ ঘণ্টা। ২ ঘণ্টা হেঁটে আসছেন আর খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। রাস্তার পর রাস্তা কেবল এটা ভেবেই ব্যাঙ্কে এসছেন, টাকাটা পেলে বাড়ি নিয়ে যাবেন, সংসার চালাবেন। অবশেষে আশা পূরণ। কাউন্টারে এলেন, তবে যা ভেবে এসছিলেন তার সিকি ভাগও মিলল না। কাউন্টার থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, "২০০০ টাকার বেশি কাউকে দেওয়া হবে না"। সেটাও আবার একটাই ২০০০ টাকার নোট!! কোনও উপায় না পেয় গোলাপি রঙের একটিমাত্র ২০০০ টাকার নতুন নোট নিয়ে বাড়ি ফিরলেন উত্তরপ্রদেশের ওই চাষী।
অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক যে বাড়িতে পরে আছে মাত্র হাজার টাকার নোট। চাষের জন্য যে বীজ কিনবেন, সে টাকাটাও নেই তাঁর কাছে। বাড়িতে ২ ছেলে আর ১০ বছরের এক মেয়ে রয়েছে, কি করে ওদের মুখে দানা তুলে দেবেন সেটা ভাবলেই আকাশ ভেঙে পড়ছে তাঁর মাথায়।