গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ পরিযায়ী শ্রমিকের
হরিয়ানার পুলিস জানাচ্ছে, আম্বালা ক্যানটনমেন্টে একটি এসইউভি নিয়ন্ত্রণ হারালে ধাক্কা মারে দুই পরিযায়ী শ্রমিককে। ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। অন্যজন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন।
![গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ পরিযায়ী শ্রমিকের গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ পরিযায়ী শ্রমিকের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/05/12/249688-car.png)
নিজস্ব প্রতিবেদন : পথে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু অব্যাহত। সোমবার রাতে হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশে জোড়া পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ২ জনের। দুজনেই বিহারের বাসিন্দা। হরিয়ানার পুলিস জানাচ্ছে, আম্বালা ক্যানটনমেন্টে একটি এসইউভি নিয়ন্ত্রণ হারালে ধাক্কা মারে দুই পরিযায়ী শ্রমিককে। ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। অন্যজন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন।
হরিয়ানার ঘটনা গাড়ির চালক পলাতক। গাড়িটিকে উদ্ধার করে পুলিস। এদিন রাতে রায় বরেলিতে এক সাইকেল আরোহী পরিযায়ী শ্রমিককে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। ২৫ বছর বয়সী শিবকুমার দাস উত্তর প্রদেশ থেকে বিহারে যাচ্ছিলেন। গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তৃতীয় দফায় লকডাউন জারি হওয়ায় ঘরে ফেরা নিয়ে উদ্বিগ্ন হন অধিকাংশ পরিযায়ী শ্রমিক। কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ সাইকেলে, কেউ বা রেললাইন ধরে বাড়ির পথে হাঁটা লাগান। পথ দুর্ঘটনায় কিংবা শারীরিক অসুস্থতায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও শ্রমিকের মৃত্যুর খবর মিলছে।
আরও পড়ুন- কতটা লকডাউন কতটা ছাড়? ১৫মে-র মধ্যে রাজ্যের দেওয়া রিপোর্টেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত!
১০ মে, ২০২০: হাজার কিলোমিটার পথ সাইকেলে পাড়ি দিয়েছিলেন দিল্লি থেকে বিহারের চম্পারণে। ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে লখনউয়ে রাস্তায় এক ডিভাইডারে বসে মুড়ি খাচ্ছিলেন ২৬ বছরে সাগির আনসারি। আচমকা গাড়ি ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আনসারির।
৯ মে ২০২০: ট্রাকে চড়ে হায়দরাবাদ থেকে মধ্যপ্রদেশের ঝাঁসিতে বাড়ি ফিরছিলেন জনা ২০ পরিযায়ী শ্রমিক। মাঝপথে উল্টে গেল আম বোঝাই সেই ট্রাক। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন ৫ জন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ১৫।
৮মে ২০২০: বিশেষ ট্রেনের ওপর ভরসা না রেখে তাঁরা হাঁটা শুরু করেছিলেন। রেললাইন ধরে চলছিলেন হনহনিয়ে। ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত শ্রমিকরা একটু জিরিয়ে নিতে বসেছিলেন রেললাইনের ধারেই। কখন চোখ লেগে গেছিল, তাঁরা নিজেরাও জানতেন না। আর তাতেই একেবারে চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন ১৪ জন পরিযায়ী শ্রমিক। ট্রেনের হর্নের আওয়াজ ওই ভীষণ ক্লান্ত শ্রমিকদের কান ভেদে করে পৌঁছয়নি। রেললাইনের ওপরেই পড়ে থাকে ১৪ জন শ্রমিকের নিথর দেহ। তাদের মধ্যে কয়েকটি শিশুও রয়েছে। বীভত্স, মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে।