১১ নাবালিকার চিঠিতে মর্মাহত প্রধান বিচারপতি, বাল্যবিবাহ রোধে জনস্বার্থ মামলা
বাল্যবিবাহ ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে হায়দরাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখল ১১ জন নাবালিকা। সেই চিঠি পড়ে মর্মাহত প্রধান বিচারপতি অবিলম্বে ঘটনাগুলিতে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রশাসনকে অবিলম্বে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
![১১ নাবালিকার চিঠিতে মর্মাহত প্রধান বিচারপতি, বাল্যবিবাহ রোধে জনস্বার্থ মামলা ১১ নাবালিকার চিঠিতে মর্মাহত প্রধান বিচারপতি, বাল্যবিবাহ রোধে জনস্বার্থ মামলা](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/02/04/108127-jhgjgjgjgjgjgjgjgjjjgj.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাল্যবিবাহ ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে হায়দরাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখল ১১ জন নাবালিকা। সেই চিঠি পড়ে মর্মাহত প্রধান বিচারপতি অবিলম্বে ঘটনাগুলিতে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রশাসনকে অবিলম্বে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
দিন কয়েক আগেই বাল্যবিবাহের তেলেঙ্গানার ১১ জন কিশোরী প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লেখে। ছোটবেলায় বিয়ে হওয়ার ফলে তাদের কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ ছিল চিঠিতে। সেই সঙ্গে চিঠিতে তেলেঙ্গানাজুড়ে বাল্যবিবাহের সমস্যার ব্যপ্তির কথাও ছিল। গোটা চিঠিটি পড়ে কেঁদে ফেলেন প্রধান বিচারপতি। এরপরই এই সমস্যা নিয়ে অবিলম্বে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন তিনি।
ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে বাল্যবিবাহের সমস্যা দীর্ঘদিনের। বাল্যবিবাহ রোখার জন্য আইন থাকলেও, তা যথেষ্ট কড়া নয়। ফলে অপরাধ করেও সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। অন্যদিকে, কোনও নাবালিকা এর শিকার হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও অর্থের অভাবে শেষ পর্যন্ত মামলা চালিয়ে যেতে পারে না তারা। ফলে ফিরে আসতে হয় শ্বশুরবাড়িতেই। আর এই অসহয়তার সুযোগেই বাড়ছে অত্যাচারের প্রবণতা।
আরও পড়ুন- ইসরো-র সাহায্য ছাড়াই দেশের প্রথম মাইক্রো স্যাটেলাইটের পরীক্ষামূলক উত্ক্ষেপণ