বিমানে চড়ার আগে জেনে নিন কয়েকটি আঁতকে ওঠার মত গোপন তথ্য
![বিমানে চড়ার আগে জেনে নিন কয়েকটি আঁতকে ওঠার মত গোপন তথ্য বিমানে চড়ার আগে জেনে নিন কয়েকটি আঁতকে ওঠার মত গোপন তথ্য](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2016/02/02/48797-flight-1.jpg)
ওয়েব ডেস্কঃ আপনার নাকি সকাল হয় কলকাতায়? দুপুরের লাঞ্চটা সারেন দিল্লিতে, আর বিকেলে চা-টা মুম্বইতে সেরে সোজা বিদেশে পাড়ি? সেখানেই ডিনার। বিমানের নিত্যযাত্রী আপনি। বিমানে চড়া আপনার কাছে জলভাত। কিন্তু এই কয়েকটা গোপন ইনফরমেশন আপনার কি জানা আছে? না থাকলে চটপট জেনে নিন। হলপ করে বলছি, আঁতকে উঠবেন বেশ কয়েকটা তথ্য জেনে... আপনার হাড়ে কাঁপুনি ধরিয়ে দেওয়ার পক্ষে সেগুলি যথেষ্ট।
চলুন জেনে নিই, বিমানে চড়ার সেসব গোপন তথ্য। যা জানিয়েছেন খোদ ফ্লাইট স্টাফরাই।
১) উড়ানের বেশিরভাগ সময়টা ঘুমিয়েই কাটান অর্ধেক পাইলট। দাঁড়ান, এখনই চমকাবেন না। একজন পাইলট হয়তো ঘুম ভেঙে দেখলেন পাশের পাইলটও ঘুমাচ্ছেন। ভাবুন তো?
২) হয়তো উড়ছেন কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থার বিমানে। খুব ভালো কথা। তবে মোটেই ভাববেন না বিশাল কোনও অভিজ্ঞ পাইলট বিমান চালাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে দেখলেন হয়তো সে কোনও অনামী আঞ্চলিক সংস্থার পাইলট।
৩) বিমানের ভিতর অক্সিজ়েনের পরিমাণ কমে এলে বা শ্বাসকষ্ট শুরু হলে আপনার মুসকিল আসান নাকি অক্সিজ়েন মাস্ক। কিন্তু, কতক্ষণ? উত্তর হচ্ছে, ঠিক ১৫ মিনিট। আর এরমধ্যেই বিমানকে অক্সিজেন পূর্ণ জায়গায় নিয়ে যেতে হবে পাইলটকে। নইলে কী হবে? সেটা উপরওয়ালাই জানেন!
৪) ফ্লাইট টেকঅফের জন্য রেডি। দয়া করে আপনারা সবাই নিজের নিজের মোবাইল সুইচ অফ করে দিন। ভেসে আসে সুন্দরী বিমানসেবিকার সুমধুর কণ্ঠস্বর। কিন্তু জানেন কী সেই ঘোষণার পর বিমানসেবিকা নিজে কী করেন? পর্দার পিছনে গিয়ে নিজের পোন নিয়ে টেক্সট করতে বসেন। অবাক হলেন তো?
৫) এবার আসা যাক ফ্লাইটে দেওয়া খাবারের প্রসঙ্গে। ২ জন পাইলটকে নাকি দেওয়া হয় ২ রকম খাবার। আর সেই খবর তারা আবার নিজেদের মধ্যে ভাগ করে খেতেও পারবেন না। তাহলে নাকি ফুড পয়জনিং হতে পারে!
৬) খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়েছে বিমান। বিদ্যুত্ চমকাচ্ছে বাইরে। বিমান হয়তো একটু টালও খাচ্ছে। আর আপনি ভয়ে চিল চিত্কার জুড়লেন। সাবধান! পাইলট কিন্তু আপনাকে অ্যারেস্ট করতে পারেন। করতে পারেন ফাইনও।
৭) ভুলেও জল খাবেন না কোনও বিমানে। এমনকী ছুঁয়েও দেখবেন না। কারণ ওটা হয়তো বিমানের টয়লেটের জন্য ব্যবহৃত জলও হতে পারে। মাত্র একহাত ব্যবধানে বিমানে ২টো পোর্ট থাকে। যার একটা দিয়ে টয়লেটের জন্য জল ভর্তি করার কথা, আরেকটা দিয়ে পানীয় জল। কিন্ত কখনওসখনও একজনই সব করে। আর সেখানেই ভয়ঙ্কর বিপদ!
৮) চা-কফি অর্ডার দিচ্ছেন? দাঁড়ান। জানেন, কী জলে চা বানানো হচ্ছে? নোংরা জলে। কারণ প্লেনের ট্যাঙ্কটা হয়তো ৬০ বছরের পুরনো। আর জন্মে কখনও তা পরিষ্কার করা হয়নি।
৯) প্লেনের টয়লেটের লকিং সিস্টেম নিয়েও কিন্তু সাবধান। সেখানেও কিন্তু গ্যাঁড়াকল রয়েছে। ভালো মতো জেনে নিন আগেই কীভাবে লক করবেন টয়লেট। নইলে তো বুঝতেই পারছেন, কী হতে পারে!
১০) সুদৃশ্য মোড়ক ছাড়িয়ে কানে হেডফোনটা গুঁজে আয়েস করে বসলেন সিনেমা দেখতে বা গান শুনতে। হেডফোনটা আপনাকে দেওয়ার সময় বলা হয়েছিল, ওটা একদম নতুন। কিন্তু জেনে রাখুন, ওটা একদমই নতুন নয়। নতুন হেডফোনের গল্পটা অনেকটা পুরোটাই ভাঁওতা। পুরনোকেই পরিষ্কার করে আবার নতুন মোড়কে সাজিয়ে দেওয়া।