ক্লদিওর জীবনযুদ্ধে ঈশ্বরও হার মানে...
শারীরিকভাবে যদি আপনি অক্ষম হন, তাহলে আক্ষেপ হয় কেন সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতে পারছি না। তবে ব্রাজিলের ক্লদিও ভিইয়ারা দ্য অলিভিরার জীবনযুদ্ধ আপনাকে অনুপ্রাণিত করবেই। তাঁর শারীরিক প্রতিবন্ধকতার লড়াই দেখে হয়ত আপনার না পাওয়ার আক্ষেপ আর থাকবে না।
![ক্লদিওর জীবনযুদ্ধে ঈশ্বরও হার মানে... ক্লদিওর জীবনযুদ্ধে ঈশ্বরও হার মানে...](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2014/09/02/28731-cladio.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: শারীরিকভাবে যদি আপনি অক্ষম হন, তাহলে আক্ষেপ হয় কেন সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতে পারছি না। তবে ব্রাজিলের ক্লদিও ভিইয়ারা দ্য অলিভিরার জীবনযুদ্ধ আপনাকে অনুপ্রাণিত করবেই। তাঁর শারীরিক প্রতিবন্ধকতার লড়াই দেখে হয়ত আপনার না পাওয়ার আক্ষেপ আর থাকবে না।
হ্যাঁ, এতটাই দাবি করে বলা যেতে পারে। কারণ তিনি জীবনকে জয় করে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। বিধ্বস্ত তাঁর শরীরের গঠন। ক্লডিওর মাথা পিছনের দিকে। হাত-পায়ের অসমাঞ্জস্যপূর্ণ গঠনে তিনি সোজাভাবে দাঁড়াতে পারেন না। হাত দিয়ে তিনি কোনও কাজও করতে পারেন না। এত প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও তিনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতি মুহূর্তে।
জন্মগত আরথোগ্রাপোসিস নামক জটিল রোগে ভুগছেন ৩৭ বছর বয়সী ক্লদিও ভিইয়ারা দ্য অলিভিরা। জন্মের সময় ডাক্তাররাও তাঁর বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাঁর মা জানান, "সবাই ভেবেছিল ক্লদিও আর বাঁচবে না। জন্মের পর সে শুধু শ্বাস নিতে পারত। তাঁকে কোনওভাবে খাওয়াতে পারতাম না।" তিনি আরও জানান, "কিন্তু ক্লদিও আজ স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করছে। একটা সাধারণ মানুষের থেকেও ভালভাবে বাঁচতে শিখেছে। আজ সবার কাছে সে অনুপ্রেরণা।"
হিসেবশাস্ত্র নিয়ে পড়া এই বিস্ময় বালক জানান, " ছোটবেলা থেকেই আমি চেষ্টা করতাম নিজে সব কিছু করার। কারও উপর নির্ভর করা একদম পচ্ছন্দ ছিল না। আমি নিজেই টিভি, ফোন, রেডিও চালাতে শিখেছি। এমনকী ইন্টারনেটও নিজে শিখেছি।" তিনি আরও জানিয়েছেন, "আমি সর্বদাই চেষ্টা করেছি পৃথিবীর সবকিছুকে নিজের করে নিতে। আমি পেরেছি। তাই আমি মনে করি সবার মতো আমিও একজন স্বাভাবিক মানুষ।"