হৃদরোগের হাত থেকে বাঁচতে পটাশিয়াম ডায়েট, খেতে হবে সাতটি খাবার
প্রত্যেকদিন একটি করে কলা খেলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আপনি যদি প্রত্যেকদিন উপযুক্ত পরিমান পটাশিয়াম পূর্ণ খাবার না খান, তাহলে আপনার কার্ডিওভ্যাসকুলার বা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি, একটি তথ্যে প্রকাশ পেয়েছে যে, প্রত্যেকদিন একটি করে কলা খেলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
একটি জার্নালে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পটাশিয়াম পূর্ণ খাবার হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে। সাধারণত যে সমস্ত হার্ট এবং কিডনি সমস্যা আমাদের মধ্যে দেখা যায়, সেই সমস্ত রোগ প্রতিরোধ করতে পারে কলা। ইঁদুরের উপর একটি পরীক্ষা চালানো হয়। সেই পরীক্ষায় কিছু সংখ্যক ইঁদুরকে লো-পটাশিয়াম ডায়েট এবং কিছু সংখ্যক ইঁদুরকে হাই-পটাশিয়াম ডায়েট দেওয়া হয়। কিছুদিন পর দেখা যায়, যে ইঁদুরগুলিকে হাই-পটাশিয়াম ডায়েট দেওয়া হয়েছিল, তাদের ধমনী কম শক্ত হয়েছে, যাদের লো-পটাশিয়াম ডায়েট দেওয়া হয়েছিল তাদের তুলনায়। শরীরে পটাশিয়ামের পরিমান কম হলে ধমনী শক্ত হয়ে যায় এবং ধমনীর চলাচলও অনিয়মিত হয়ে যায়। ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাহলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে নিয়মিত একটি করে কলা খান।
পালং শাক
পালং শাক সবচেয়ে পুষ্টিগুনসম্পন্ন সবুজ শাকের মধ্যে একটি। পালং শাকে রয়েছে বিপুল পরিমাণে পটাশিয়াম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জল ও ফাইবার। এছাড়া পালং শাক আপনাকে সরবরাহ করবে অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিন-এ, সি ও কে। এছাড়া পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ফলিক এসিড, আয়রন ও ক্যালসিয়াম। ডায়েট তালিকায় দৈনিক এক কাপ পালং শাক আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
ডাবের জল
গরমে ডাবের জল আপনাকে রাখবে সতেজ। এই প্রাকৃতিক সুস্বাদু পানীয় নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। ডাবের জল শরীরে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম সরবরাহ করে। এছাড়া দেহকে বিষাক্ত পদার্থমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
তরমুজ
তরমুজ একটি গ্রীষ্মকালীন ফল যা জলে পরিপূর্ণ। গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতার শেষ নেই। এই ফলটি হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে দারুণ কার্যকর। এতে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম ফলে তরমুজ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
আলু
আলু আমাদের দেশে নানা ধরণের রান্নায় ব্যবহার হয়ে থাকে। সাদা আলু, মিষ্টি আলু সব ধরণের আলুই পটাশিয়ামের দারুণ উৎস। এই সবজি দৈনিক ডায়েট চার্টে রাখলে পটাশিয়ামের অভাব পূরণসহ নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে।
ডালিম
উচ্চ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ আরেকটি ফল হল ডালিম। ডালিমে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন- সি, ভিটামিন-কে এবং ফোলাট (ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন বি ৯ এর একটি সংমিশ্রণ)। এছাড়া ডালিম প্রদাহজনিত সমস্যার বিরুদ্ধে লড়তে শরীরকে সাহায্য করে।
কমলালেবুর রস
অনেকেই ব্রেকফাস্টে কমলালেবুর রস খেয়ে থাকেন। এটি শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম সরবরাহ করে।
প্রসঙ্গত, ডাক্তারি পরামর্শেই পটাশিয়াম ডায়েট করা যথাযথ