আত্মতুষ্টি, এনআরসি, হামবড়া ভাব নাকি নব্য বনাম আদি- বিজেপির ভরাডুবির কারণ কী?
ভোটের ফলে লবডঙ্কা! ৬ মাসেই কীভাবে এমনটা হল?
![আত্মতুষ্টি, এনআরসি, হামবড়া ভাব নাকি নব্য বনাম আদি- বিজেপির ভরাডুবির কারণ কী? আত্মতুষ্টি, এনআরসি, হামবড়া ভাব নাকি নব্য বনাম আদি- বিজেপির ভরাডুবির কারণ কী?](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/11/29/221164-dilip51.jpg)
অঞ্জন রায়
এ যেন আকাশ থেকে একেবারে পাতালে নামা! লোকসভা ভোটের পর রাজ্য জয়ের স্বপ্ন দেখা বিজেপিকে উপনির্বাচন এনে ফেল বাস্তবের কঠিন মাটিতে। লোকসভা ভোটে ২-১ এগিয়ে থাকা দল কিনা ৩-০ তে ধরাশায়ী। এমন হতাশাজনক ফলের নেপথ্য উঠে আসছে, এনআরসি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও নেতাদের ঔদ্ধত্য। হারের ময়নাতদন্তে শনিবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য নেতৃত্ব।
লোকসভায় দুরন্ত ফলাফল। প্রথমবার রাজ্যে ১৮টি আসন জয়। শুরু হয়ে গিয়েছিল কথার ফুলঝুরি। একের পর এক তিরে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছিল ঘাসফুল শিবির। কিন্তু ভোটের ফলে লবডঙ্কা! ৬ মাসেই কীভাবে এমনটা হল?
প্রকাশ্যে রাজ্য নেতৃত্ব মুখ খুলছেন না ঠিকই। তবে নাগরিকপঞ্জির মতো বিতর্কিত বিষয় যে ব্যুমেরাং হয়েছে, তা মেনে নিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকারের স্বীকারোক্তি, এনআরসি প্রভাব ফেলেছে। খোদ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেছেন, শাসক দল প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে এনআরসি বিরোধী প্রচার চালিয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে জনমানসে। তবে ওষুধ খোঁজা চলছে।
রাজ্য নেতৃত্ব ফলাফল নিয়ে চক্রান্তের তত্ত্ব দিলেও, এনআরসি ও সাংগঠিক দুর্বলতার কথা অস্বীকারও করতে পারছেন না। অনুপম হাজরার মতো নেতারা ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নব্য-আদি দ্বন্দ্ব নিয়ে মন্তব্য করেছেন। বার্তা একটাই, হাতে হাত রেখে কাজ করতে হবে। বিজেপির অন্দরের খবর, অন্য দল থেকে আসা নেতারাই হয়ে উঠেছেন সর্বেসর্বা। এতে ব্রাত্য হয়েছেন পুরনো নেতারা। তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে উপনির্বাচনে। বিজেপি নেতা চন্দ্র বসুর সাফ কথা, এনআরসি-র মতো বিষয় এরাজ্যে চলবে না। এখানে আন্দোলন না করলে সাফল্য মেলে না। মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। কিন্তু নেতারা ভাবছেন হাওয়া হাওয়ায় ভোটে জিতবেন। এটা বাংলা সেটাই ভুলে গিয়েছেন।
ভরাডুবির সম্ভাব্য কারণ
লোকসভায় ১৮ আসন পেয়ে আত্মতুষ্টি?
নেতাদের হামবড়া ভাব?
ধারাবাহিক আন্দোলনের বদলে শখের কর্মসূচি?
দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া ?
আদি বিজেপি বনাম নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব?
উপনির্বাচনেও জয় নিশ্চিত, রাজ্য নেতৃত্বের থেকে এমন রিপোর্ট পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অমিত শাহ-রা যে এই ফলাফলে খুশি নন তা বলাই বাহুল্য। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নেতারা ঘুরছেন। তাতে জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছেন তাঁরা। উপনির্বাচনে খারাপ ফলের পর জল্পনা, রাজ্যের সংগঠনে হতে পারে আমূল বদল।
আরও পড়ুন- আর্থিক সংকট চরমে, এই ক্ষেত্রগুলিতে হয়েছে লক্ষাধিক ছাঁটাই, এবার শঙ্কায় আইটি