জোট বাঁধার আগেই বিরোধী মঞ্চে ভাঙন! ১৩ তারিখ দিল্লির বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা
আজ বিধানসভায় বিজনেজ অ্যাডভাইসরি কমিটি বৈঠকে সিএএ-এনআরসি প্রত্যাহার প্রস্তাব যৌথভাবে আনার দাবি জানায় সিপিএম এবং কংগ্রেস। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বাম এবং কংগ্রেসের এই বক্তব্যে রাজি হননি
![জোট বাঁধার আগেই বিরোধী মঞ্চে ভাঙন! ১৩ তারিখ দিল্লির বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা জোট বাঁধার আগেই বিরোধী মঞ্চে ভাঙন! ১৩ তারিখ দিল্লির বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/01/09/227836-mamatabanerjee.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৩ জানুয়ারি দিল্লিতে রয়েছে বিরোধীদে বৈঠক। সিএএ, এনআরসি-সহ একাধিক ইস্যুর বিরোধিতা করে ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করার কথা সব বিরোধীর শীর্ষ নেতাদের। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ওই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন না। মমতার এই সিদ্ধান্তে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। তা হলে কি ফের বিরোধী জোট মুখ থুবড়ে পড়ল, প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। জানা যাচ্ছে, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকেও ফোনে জানিয়ে দেন দিল্লি না যাওয়ার কথা।
আজ বিধানসভায় বিজনেজ অ্যাডভাইসরি কমিটি বৈঠকে সিএএ প্রত্যাহার প্রস্তাব যৌথভাবে আনার দাবি জানায় সিপিএম এবং কংগ্রেস। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বাম এবং কংগ্রেসের এই বক্তব্যে রাজি হননি। তিনি বলেন বিধানসভায় এখন অন্য কোনো আলোচনার সময় নেই।
আরও পড়ুন- 'বিজেপি কো ক্যাহকে লেঙ্গে' থেকে 'ছিন কে লেঙ্গে আজাদি'- দিনভর সোচ্চার যাদবপুর
এরপর মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে শুরু করলে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী তাঁকে বাধা দেন এবং বলেন আমরা সর্বসম্মত প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলাম। আপনারা রাজি হলেন না। তাঁর কথায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আপনারা বন্ধের নামে গুন্ডামি করেছেন। আপনাদের সঙ্গে একসঙ্গে কোন আন্দোলন করা সম্ভব নয়। আমি ১৩ তারিখ দিল্লির বৈঠকেও যাব না।“ মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। রীতিমত তর্কাতর্কি বেধে যায় সরকার ও বিরোধী পক্ষের সদস্যদের মধ্যে।