Singur: বিনিয়োগ আসছে সিঙ্গুরে, শিল্প গড়তে চেয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন ১০ সংস্থার
সিঙ্গুরে শিল্পতালুক হবে ৬.৩২ একর জমির উপরে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের দাবি বেশ কয়েকটি শিল্প সংস্থা ওই শিল্প তালুকে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ওই ১৩ জেলার ৩২ শিল্প তালুকে বিনিয়োগ হতে পারে ৬০০০ কোটি টাকা
![Singur: বিনিয়োগ আসছে সিঙ্গুরে, শিল্প গড়তে চেয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন ১০ সংস্থার Singur: বিনিয়োগ আসছে সিঙ্গুরে, শিল্প গড়তে চেয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন ১০ সংস্থার](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/25/387030-4.png)
সুতপা সেন: টাটা চলে যাওয়ার পর থেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সিঙ্গুরে শিল্প আনা। জমি যারা ফেরত পেয়েছেন সেই জমিতে চাষ করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে চাষীদের। এনিয়ে রাজনীতি তুঙ্গে। এর মধ্যেই বড় খবর হল, সিঙ্গুরে শিল্প গড়তে চেয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন করল ১০টি নতুন সংস্থা। নবান্ন সূত্রে খবর, সিঙ্গুরে ৬.৩২ একর জমিতে তৈরি করা হবে শিল্প তালুক। সেখানে অন্তত ১০টি শিল্প ইউনিটে বিনিয়োগ আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের ১৩ জেলার শিল্পদ্যোগীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডে। ওই বৈঠকে উঠে এসেছে রাজ্যের ১৩ জেলার ৩২টি সরকারি জমিতে শিল্প পার্ক গড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে মোট জমির পরিমাণ ৪৫৬ একর।
সিঙ্গুরে শিল্পতালুক হবে ৬.৩২ একর জমির উপরে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের দাবি বেশ কয়েকটি শিল্প সংস্থা ওই শিল্প তালুকে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ওই ১৩ জেলার ৩২ শিল্প তালুকে বিনিয়োগ হতে পারে ৬০০০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, রাজ্যের শিল্প সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বারবারই শিল্পপতিদের আশ্বস্ত করেছেন, রাজ্যে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক রয়েছে। সেখান থেকে শিল্পের জন্য জমি দেওয়া হবে। বাম আমলের মতো আর বনধের ঝামেলা নেই। শ্রমিকের অভাব নেই। কালকাতা বন্দর কাছেই। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ হল উত্তরপূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। ফলে গোটা রাজ্যটি শিল্প তৈরির জন্য অত্যন্ত আদর্শ একটি জায়গা। মুখ্যমন্ত্রীর ওইসব ঘোষণার পরও রাজ্যে বড়সড় কোনও শিল্প সংস্থা আসেনি। গত ৩ জুন কামারকুন্ডুতে একটি রেলব্রিজের উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে তিনি ফের বলেন, আপনারা জমি ফেরত পেয়েছেন। এখন এখানে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। একদিকে সবুজ জমি এবং অন্যদিকে শিল্প। সিঙ্গুরের উন্নয়নের জন্য যতটা করার প্রয়োজন তা করছে রাজ্য সরকার। সিঙ্গুরে কৃষি ভিত্তিক শিল্পের কথাও ভাবছে সরকার।