ABVP নামতেই রাজনৈতিক মেরুকরণ যাদবপুরে, কলায় রেকর্ড ব্রেকিং জয় SFI-র
তবে এবিভিপি-ও রুপোলি রেখা দেখতে পেয়েছে। তারাও মনে করছে, আগামী দিনে যাদবপুরে লড়াই দিতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যাদবপুরে প্রথমবার দলীয় প্রতীকে লড়াইয়ে নেমেছিল এবিভিপি। কয়েক দশক ধরেই যাদবপুর হল গিয়ে বামপন্থী রাজনীতির ধাত্রীভূমি। সেই যাদবপুরে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন ময়দানে নামায় স্বাভাবিকভাবে ফলাফল নিয়ে তুঙ্গে উঠেছিল আগ্রহ। হাতেগোনা ভোট পেয়েওছে এবিভিপি। কিন্তু মাঝখান নিয়ে কলা বিভাগে, যা বামপন্থীদের দুর্গ, সেখানে রেকর্ড মার্জিনে জিতল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই।
কেন্দ্রীয় প্যানেল জয়ী এসএফআই প্রার্থী পেয়েছেন ২০৫৭টি ভোট। ৮৭১টি ভোট পেয়েছে ডিএসএ। টিএমসিপি পেয়েছে ১৫৩টি ভোট। ৯৬টি ভোট পেয়েছে এবিভিপি। সাধারণ সম্পাদক পদে এসএফআই প্রার্থী পেয়েছেন ১৯৯৬টি ভোট। ৮৬৫টি ভোট পেয়েছে ডিএসএ। সহ সাধারণ সম্পাদক পদে এসএফআইয়ের প্রাপ্ত ভোট ১৭৭৯। ৮৫৪টি ভোট পেয়েছে ডিএসএ। ১০ বছর পর এমন ব্যবধানে কলা বিভাগে আধিপত্য কায়েম করল এসএফআই। এতেই স্পষ্ট, কলা বিভাগের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এসএফআই ছাড়া আর কাউকে ভাবেননি ছাত্রছাত্রীরা।
এসএফআই অবশ্য় বলছে, যাদবপুর মেধার জায়গা। এখানে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ঠাঁই নেই। যাদবপুরের নিজস্ব চরিত্র ছিল। এসএফআই-কে আরও বাড়তি সুযোগ ছিল। রাজনৈতির লড়াই। স্পষ্ট বার্তা, পড়াশুনো করছে। এসএফআই রাজনীতি ছাড়াও ক্যাম্পাসে জল, সিসিটিভি, ও নিরাপত্তার দাবিতে কাজ করে দিয়েছে। স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে ক্যাম্পাসে। ছাত্রীদের নিগ্রহ রুখতে এবার আলাপ অ্য়াপের দাবিও করা হয়েছিল। তার সুফলই মিলেছে। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলছেন,''ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছে যাদবপুর। ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।'' এসএফআই-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।
Congratulations! #JadavpurUniversity for left. যাদবপুরে বামপন্থীদের দাপট অব্যাহত , দ্বিতীয় স্থানে এবিভিপি , চতুর্থ স্থানে টিএমসিপি https://t.co/rEdh7yPU1V
— Md Salim (@salimdotcomrade) February 20, 2020
তবে এবিভিপি-ও রুপোলি রেখা দেখতে পেয়েছে। তারাও মনে করছে, আগামী দিনে যাদবপুরে লড়াই দিতে পারে। কলা বিভাগে তারা ভোট পেয়েছে। আবার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে। ওই বিভাগের সেন্ট্রাল প্যানেলে ডিএসএ প্রার্থী পেয়েছেন ৩,৩০৪ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে এবিভিপি ভোট পেয়েছে ৫০৮টি। ২৮৮টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে SFI। সাধারণ সম্পাদক পদে ডিএসএফ প্রার্থীর ভোট ৩ হাজার ৩২০। এবিভিপির প্রাপ্ত ভোট ৫২৮টি। ২৬৫টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে এসএফআই। তিনটি সহ-সাধারণ সম্পাদক পদেও জিতেছেন ডিএসএ প্রার্থীরা। তার মধ্যে দুটি স্থানে ডিএসএ ও একটিতে এসএফআই প্রার্থী রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে।
আরও পড়ুন- এ তো পেহলি ঝাঁকি হ্যায়, পুরি ফিল্ম বাকি হ্যায়, যাদবপুরের ফলে উচ্ছ্বসিত দিলীপ