রবীন্দ্র ভারতীতে ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্বজিত দেকেই সাধারণ সম্পাদক!

রবীন্দ্র ভারতীতে ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্বজিত দেকেই সাধারণ সম্পাদক পদে বসানো হল। বিষয়টি জানতেন না বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিশ্বজিতের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়ে নভেম্বর মাসেই রাজ্যপালকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীকেও। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কেন শিক্ষামন্ত্রী দাবি করলেন বিষয়টি তিনি জানতেন না? তিনি তো এ কথাও জানেন যে, এ বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে জিতেছে টিএমসিপি। তা হলে কে সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন, সেটা শিক্ষামন্ত্রীর না জানা একটু অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে।

Updated By: Dec 20, 2013, 11:52 AM IST

রবীন্দ্র ভারতীতে ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্বজিত দেকেই সাধারণ সম্পাদক পদে বসানো হল। বিষয়টি জানতেন না বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিশ্বজিতের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়ে নভেম্বর মাসেই রাজ্যপালকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীকেও। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কেন শিক্ষামন্ত্রী দাবি করলেন বিষয়টি তিনি জানতেন না? তিনি তো এ কথাও জানেন যে, এ বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে জিতেছে টিএমসিপি। তা হলে কে সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন, সেটা শিক্ষামন্ত্রীর না জানা একটু অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ঊনত্রিশে জুলাই। বি টি রোডে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাসস্ট্যান্ডে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই বাংলা স্নাতকোত্তরের এক ছাত্রী। এরপর তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘরে আটকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হল বলে টিএমসিপি নেতা বিশ্বজিত দে ওরফে বাপ্পা ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রথমে ধরা না পড়লেও হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় অগস্ট মাসে বিশ্বজিতকে গ্রেফতার করে পুলিস। এখন সে জামিনে মুক্ত।

সেই বিশ্বজিতই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেন। তার মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা নভেম্বরে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপালকে। সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যকেও। কিন্তু এরপর মনোনয়ন বাতিল তো দূর অস্ত, সেই বিশ্বজিত দে ওরফে বাপ্পাকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের পদে বসান টিএমসিপির রাজ্য সম্পাদক শঙ্কুদেব পণ্ডা। বৃহস্পতিবার এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেন বিষয়টি নাকি তিনি জানতেনই না। যদিও রবীন্দ্রভারতীতে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জয়ের খবর জানতেন বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন সেটা না জানলেও ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিত যে নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল করেছেন সেই সংক্রান্ত চিঠিতো তাঁকেও পাঠানো হয়েছিল। তাহলে তিনি বিশ্বজিত দের মনোনয়ন বাতিলের ব্যাপারে উদ্যোগী হলেন না কেন? এবং তিনি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপির বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার কথাই জানবেন, তা হলে সেখানে কে সাধারণ সম্পাদক হলেন, সেটা তাঁর না জানাটা অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে।

.