Panchayat Election 2023: 'যাঁর রেট ৫ লাখ টাকা তাঁকে কেউ উপ-মুখ্যমন্ত্রী করে', শুভেন্দুর দাবি নস্যাৎ অভিষেকের
বুধবার বিরোধী দলনেতা বলেন,'২০২০ সালে আমাকে উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের অফারও দিয়েছিল। কিন্তু আমি সব ছুঁড়ে দিয়ে চলে এসেছি।' এদিন তাঁরই জবাবে অভিষেক বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারী ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়ে যায় তাঁকে কে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ অফার করবে?'
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এগরার সভা থেকে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।বিরোধী দলনেতা বলেন,'২০২০ সালে আমাকে উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের অফারও দিয়েছিল। কিন্তু আমি সব ছুঁড়ে দিয়ে চলে এসেছি।' উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আড়াই বছর পর মুখ খুললেন। এদিন তাঁরই জবাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারী ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়ে যায় তাঁকে কে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ অফার করবে। সারদা, নারদা, রোজভ্যালি প্রতিটা স্ক্যামে তাঁর নাম পাওয়া গিয়েছে। খবরের কাগজে মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল'।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: কপ্টারের জরুরি অবতরণে চোট, আজই উডবার্নে মুখ্যমন্ত্রীর হাঁটুতে আর্থোস্কপি!
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিষেক বলেন, '৫১ দিনের নবজোয়ার কর্মসূচির অভিজ্ঞতা আজীবন মনে থাকবে। নবজোয়ার চলাকালীন পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা হয়। নবজোয়ারের পরও ৫-৭টি জেলায় প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। ২০১১ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দিদির সুরক্ষাকবচ, দুয়ারে সরকার, রাস্তাশ্রী,পথশ্রী চালু করেছে। জনমুখী প্রকল্পগুলো এ বছরের শুরু থেকেই ছিল। এমনকী সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইন চালু হয়েছিল। তৃণমূল জিতলে লক্ষ্মী ভান্ডার হয়, বিজেপি জিতলে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ হয়।'
অভিষেকের তোপ, ভোট মিটলে দিল্লিতে আন্দোলন হবে। বাংলার সঙ্গে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। কয়েকজন অভিযুক্ত ধরলেও, কেন বাকি ২ কোটি মানুষ ফল ভুগবেন, আমরা চাই বিচার হোক, কিন্তু কয়েকজনের ভুলের জন্য ২ কোটি ভুগবে? এটা বিচার। রাজ্যপাল ভোটের ফায়দা তুলছে চাইছে। করমণ্ডলের পর কন্ট্রোল রুম খোলেননি কেন? দিল্লি যে আদেশ আসছে, উনি তা পালনের চেষ্টা করছে। রাজ্যপাল বাংলা টাকা আটকে রাখা নিয়ে কিছু বলছেন না কেন?'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট দাবি, মনোনয়ন হয়েছে, প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। শুধু ভাঙড় নয়, সর্বত্র শান্তিপূর্ণ ভোট হোক সেটাই চাই। সায়নী ঘোষ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, 'শুধু সায়নী বলে নয় আমাকেও ইডি, সিবিআই ডেকেছে। নির্বাচনি প্রচার চলাকালীন ডাকা হয়েছে। এসবই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। ইডি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুক।'