দেবাঞ্জন কাণ্ডের ছায়া! চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, ১ পুরকর্মী সহ ৩ জন গ্রেফতার
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এক পুর কর্মী - সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে নিউমার্কেট থানার পুলিস।
![দেবাঞ্জন কাণ্ডের ছায়া! চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, ১ পুরকর্মী সহ ৩ জন গ্রেফতার দেবাঞ্জন কাণ্ডের ছায়া! চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, ১ পুরকর্মী সহ ৩ জন গ্রেফতার](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/06/30/329577-puro.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেবাঞ্জন কাণ্ড নিয়ে যখন সরগরম রাজ্য, তখনই সামনে এল পুরসভার ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির নামে প্রতারণার আরও একটি চক্র। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এক পুর কর্মী - সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে নিউমার্কেট থানার পুলিস।রাজীব মল্লিক নামে ওই পুর কর্মীর সঙ্গে দেবাঞ্জনের কোনো যোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
সূত্রের দাবি, গোপন সূত্রে পুলিসের কাছে খবর আসে, জাল নথির মাধ্যমে পুরসভার চাকরি প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতানোর চেষ্টা করছে একটি চক্র। সেই সূত্রেই খানাকুলের এক ব্যক্তির কথা জানতে পারে পুলিস। পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ফ্রন্ট অফিসে কাজ করেন এই ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পারে তাঁকে পুরসভার গ্রুপ সি পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এক পুরকর্মী। দেওয়া হয়েছে নিয়োগ পত্রও।
তদন্তকারী অফিসাররা দেখেন ওই নিয়োগপত্রে রয়েছে কলকাতার পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের 'ভুয়ো' সইও। রয়েছে পুরসভার 'ভুয়ো' স্ট্যাম্প। ওই ব্যক্তি পুলিসকে জানান, হাসাপাতালে চিকিৎসার সূত্রে এসেছিলেন অভিযুক্ত। সেই সূত্রেই আলাপ। যে নম্বরের মাধ্যমে অভিযুক্ত যোগাযোগ রাখছিল সেখান থেকেই পুলিস পুরসভার কর্মী রাজীব মল্লিকের কথা জানতে পারে।
পুরসভার মজদুর ইউনিটের সদস্য রাজীব বউবাজারের ইডেন হসপিটাল রোড়ের বাসিন্দা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই কাজে আসছিলেন না তিনি। ফেসবুকের মাধ্যমে পাওয়া রাজীবের ছবি দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেন ওই ব্যক্তি। ঘটনা জানার পর নিউামার্কট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতা পুরসভার সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অফিসার।
অভিযোগের তদন্তে নেমে দিন দুয়েক আগে রাজীব মল্লিককে গ্রেফতার করে নিউমার্কেট থানা। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পুরসভার প্রচুর জাল নথি, রাবার স্ট্যাম্প।
আরও পড়ুন, নারদ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা, মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ হাইকোর্টের
মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তকে জেরা করে তিনজলা থেকে জয়দেব সরকার এবং কলেজ স্ট্রিট থেকে সিদ্ধার্থ সাহা নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রের খবর, জাল নথি বানানোর কাজ করত জয়দেব। অন্যদিকে, পুরসভার নামে ভুয়ো জাল স্ট্যাম্প তৈরি করত সিদ্ধার্থ। তাঁদের থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরসভার এক সিনিয়র আধিকারিকে জাল স্ট্যাম্প ও পুরসভার ৬টি জাল লেটারহেড উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের থেকে।
ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির নামে এই চক্র আর কতজনকে প্রতারণার করেছে জানার চেষ্টা করছে পুলিস। পাশাপাশি দেবাঞ্জনকে গ্রেফতারের পরও জানা গিয়েছিল পুরসভায় চাকরি নামে বিভিন্ন লোকের থেকে টাকা নিয়েছিল ওই ভুয়ো আইএএস অফিসার। তাঁর সঙ্গে এই চক্রের যোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।