Kestopur: তৃণমূল কাউন্সিলরের পা ধরে ক্ষমা চাইতে হল 'প্রতিবাদী' মা ও মেয়েকে!
জানা গিয়েছে, অভিযু্ক্তের নাম আশুতোষ নন্দী। বিধাননগর পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি। ওই ওয়ার্ডের প্রফুল্লকানন অঞ্চলে থাকেন ওই মহিলা ও তাঁর মেয়ে। সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যরাও।
সৌমেন ভট্টাচার্য: বাড়ির পাশেই 'বেআইনি নির্মাণ'। প্রতিবাদ করে চরম হেনস্তার মুখে মা ও মেয়ে। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের পা ধরে ক্ষমা চাইতে হল তাঁদের, সঙ্গে জুটল মারধর! কেন? মুখে কুলুপ অভিযুক্তের। ঘটনাস্থল, বিধাননগর।
আরও পড়ুন: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে লাল চন্দন কাঠ পাচারের ছক, গ্রেফতার ৪
জানা গিয়েছে, অভিযু্ক্তের নাম আশুতোষ নন্দী। বিধাননগর পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি। ওই ওয়ার্ডের প্রফুল্লকানন অঞ্চলে থাকেন ওই মহিলা ও তাঁর মেয়ে। সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যরাও। ফ্ল্যাট নয়, ৬০ বছরের পুরনো বাড়ি তাঁদের।
অভিযোগ, সেই বাড়ির পাশেই বেআইনিভাবে তৈরি হচ্ছে একটি বহুতল। প্রতিবাদ করেন মা ও মেয়ে। তারপর? তাঁদের নিজের কার্যালয়ে ডেকে পাঠান এলাকার কাউন্সিলর আশুতোষ নন্দী। শুধু তাই নয়, মেয়েকে এক ঘরে আটকে রেখে রীতিমতো মারধর করেন কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ মহিলারা। এরপর কাউন্সিলরের সামনে কান ধরতে হয় তাঁকে। এমনকী, কাউন্সিলরের পা ধরতেও বাধ্য করা হয়!
আরও পড়ুন: এসএসসির নতুন মেধা তালিকায় বিস্তর অসঙ্গতি! হাইকোর্টে মামলা দায়ের
মা ও মেয়ের দাবি, কাউন্সিলর বলেন, এলাকায় তাঁর মদতেই বেআইনি কাজ হবে। এমনকী, এই ঘটনার পর থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। বলা হচ্ছে, ৬০ বছরের পুরনো বাড়িটিও বেআইনি। রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন দু'জনেই। কাউন্সিলরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকার অন্য বাসিন্দারাও। এই ঘটনা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি অভিযুক্ত কাউন্সিলর। উল্টে রাখির গুরত্ব বর্ণনা করতে শুরু করেন তিনি। শেষে নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে চলে যান।