বাগুইহাটির ব্যবসায়ী পরিবারে দুষ্কৃতী হামলা, প্রহৃত বাড়ির মহিলারা

সাত সকালে বাগুইহাটিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব। ধারালো অস্ত্র, বন্দুক নিয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা চালাল এক দুষ্কৃতী। অভিযোগ, ২ লাখ টাকা দাবি করে মহম্মদ আসগার নামে ওই দুষ্কৃতী। টাকা না মিলতেই বাড়ির মহিলাদের মারধর করে সে। অভিযুক্ত আসগারকে আটক করেছে পুলিস। তবে গোটা ঘটনায় পুলিসের তরফে প্রথমে কোনও সহযোগিতা মেলেনি বলে অভিযোগ।

Updated By: Feb 11, 2018, 03:28 PM IST
বাগুইহাটির ব্যবসায়ী পরিবারে দুষ্কৃতী হামলা, প্রহৃত বাড়ির মহিলারা

নিজস্ব প্রতিবেদন : সাত সকালে বাগুইহাটিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব। ধারালো অস্ত্র, বন্দুক নিয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা চালাল এক দুষ্কৃতী। অভিযোগ, ২ লাখ টাকা দাবি করে মহম্মদ আসগার নামে ওই দুষ্কৃতী। টাকা না মিলতেই বাড়ির মহিলাদের মারধর করে সে। অভিযুক্ত আসগারকে আটক করেছে পুলিস। তবে গোটা ঘটনায় পুলিসের তরফে প্রথমে কোনও সহযোগিতা মেলেনি বলে অভিযোগ।

বাগুইআটির দশদ্রোণের প্রান্তিক আবাসের বাসিন্দা দলপতি পরিবার। দীর্ঘদিনের ব্যাগের ব্যবসা এই পরিবারের। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, রবিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ হঠাত্ দরজায় কলিং বেলের আওয়াজ শুনে বাড়ির ছোট বউ গিয়ে দরজা খোলেন। দরজা খুলতেই ২ লাখ টাকা দাবি করে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে মহম্মদ আসগার। সে বলে, তার ছেলের কিডনির অসুখ, তাই অবিলম্বে তার ওই টাকা চাই। ইতিমধ্যে বাড়ির অন্য লোকজনরাও এসে জড়ো হয়। আসগারকে ফোন নম্বর রেখে যেতে বলা হয়। অভিযোগ, এরপরই আসগার বন্দুক বের করে বাড়ির বাচ্চাদের খুন করার হুমকি দেয়। পকেট থেকে ক্ষুর বের করে করে সোজা বাড়ির দোতলায় উঠে যায়। দোতলায় উঠেই বন্দুকের বাঁট দিয়ে বাড়ির মহিলাদের মারধর শুরু করে সে।

ইতিমধ্যে বাড়ির লোকেদের চিত্কারে প্রতিবেশীরা এসে জড় হয়। তাঁরাই বাড়ি ঘিরে ফেলে অপরাধীকে ধরে ফেলে। অভিযোগ, সেইসময় সেখান দিয়ে পুলিসের একটি পেট্রোলিং ভ্যান গেলেও ওই এলাকা তাদের আওতায় নয় বলে বিষয়টি প্রথমে এড়িয়ে যায় পুলিস। এরপর বাগুইহাটি থানায় খবর দেওয়া হলে, প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর পুলিস এসে অপরাধীকে আটক করে নিয়ে যায়। থানার তরফেও দাবি করা হয় যে, ওই এলাকা তাদের আওতাভুক্ত বলে জানা ছিল না।

আরও পড়ুন, বিয়ের দাবি না মানতেই অপহরণ, উদ্ধার সোনারপুরের অপহৃত তরুণী

এদিকে, অভিযুক্ত আসগারের দাবি, সে পেশায় রিকশাচালক। বহুদিন ওই বাড়িতে মাল পৌঁছে দিয়েছে সে। কিন্তু দলপতি পরিবার বকেয়া টাকা মেটায়নি। আর সেই টাকা আদায় করতেই সে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে। তবে তাঁর কাছে বন্দুক কোথা থেকে এল, তার কোনও স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

.