দেশের নজরে নবান্ন, মমতা-রাও বৈঠকের প্রস্তুতি তুঙ্গে
এর আগেই বিজেপির উত্থান ঠেকাতে ৪ মার্চ আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে জোট গড়ার ডাক দেন কে চন্দ্রশেখর রাও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের বিজেপি বিরোধী জোটের পালে হাওয়া। প্রফুল প্যাটেলের পর আজ কলকাতায় তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হতে চলেছে মমতা-কে চন্দ্রশেখর রাও বৈঠক।
গোটা দেশের নজর এখন নবান্নে। গেরুয়া ঝড় রুখতে জোট কৌশল নিয়ে কী কথা হবে দুই নেতা-নেত্রীর, সেদিকেই তাকিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- রাজ ঠাকরে মোদী মুক্ত ভারতের ডাক দিতেই গুজরাটি ব্যবসায়ীদের দোকানে হামলা মুম্বইয়ে
মমতার বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির জোট গঠনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত পরশুই কলকাতায় আসার কথা জানান তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও। এর আগেই বিজেপির উত্থান ঠেকাতে ৪ মার্চ আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে জোট গড়ার ডাক দেন কে চন্দ্রশেখর রাও। তিনি মনে করেন, অ-কংগ্রেসি এবং অ-বিজেপি ফ্রন্টের এগিয়ে আসা উচিত এবং সমস্ত ক্ষমতা রাজ্য সরকারগুলির হাতে তুলে দেওয়া উচিত। কেন্দ্রের হাতে সীমিত ক্ষমতাই শুধু থাকবে। আর একমাত্র তখনই দেশ এগিয়ে যেতে পারবে বলে মত তাঁর। যদি সকলের শুভেচ্ছা থাকে তাহলে নিশ্চিত জয় মিলবে। এ বিষয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যে কথা হয়েছে, ৪ মার্চের টুইটে সেই দাবিও করেন চন্দ্রশেখর।
আরও পড়ুন- সিধুর সিক্সারে হেসে লুটোপুটি সোনিয়া, মনমোহন
চন্দ্র শেখর লেখেন, সারাদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকে ফোন করেছেন। বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছেন এবং বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত একেবারে ঠিক। তিনি সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন এবং এক সঙ্গে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই টুইট বার্তার দুসপ্তাহের মাথায় বাংলায় আসছেন কে চন্দ্রশেখর। ফলে, একথা স্পষ্ট যে, বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে এককাট্টা করতে এবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী।
আরও পড়ুন- শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে পিছিয়ে গুজরাট, জানালেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান
অন্যদিকে আবার ২৭ ও ২৮ মার্চ দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। সেই সূত্রেই ৯ মার্চ শরদ পাওয়ারের প্রতিনিধি হয়ে নবান্নে আসেন প্রফুল প্যাটেল।