Kolkata Indian Museum Shooting: জাদুঘরে নির্বিচার গুলি, সিআইএসএফ জওয়ানের টার্গেটে ছিলেন আরও ৩ জন
জাদুঘরের মতো একটি হাই সিকিউরিটি জোনে একজন কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ান একে ৪৭ রাইফেল ছিনিয়ে নির্বিচার ১৫ রাউন্ড গুলি চালনার ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই দেখছে কলকাতা পুলিস। ওই গুলিতে নিহত হয়েছেন একজন। আহত হয়েছেন অন্য একজন
![Kolkata Indian Museum Shooting: জাদুঘরে নির্বিচার গুলি, সিআইএসএফ জওয়ানের টার্গেটে ছিলেন আরও ৩ জন Kolkata Indian Museum Shooting: জাদুঘরে নির্বিচার গুলি, সিআইএসএফ জওয়ানের টার্গেটে ছিলেন আরও ৩ জন](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/07/384662-3.png)
পিয়ালি মিত্র: কলকাতা জাদুঘরে গুলিকাণ্ডে অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ান অক্ষয়কুমার মিশ্রকে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। ধৃতকে জেরা করছেন খোদ কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা, ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার ও হোমিসাইড শাখার অফিসাররা। গতকাল অপারেশ মোজো-র সময়েও বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরে নেতৃত্বে দেন বিনীত গোয়েল। অক্ষয়কুমারের গুলিতে নিহত হয়েছেন রঞ্জিত কুমার সারোঙ্গি। তবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন অক্ষয়কুমারের টার্গেটে ছিলেন অন্তত ৪ জন। তালিকায় ছিলেন অ্যাসিস্টান্ট কমান্ডান্ট সুবীর ঘোষ, এক ইন্সপেক্টর, এক জওয়ান। এঁরাই অক্ষয়কে উত্যক্ত করতো বলে অভিযোগ। তবে এমন এক ভয়ঙ্কর কাণ্ডের পেছনে আসলে কী কারণ রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন-সিবিআই দফতরে সোমবার যাচ্ছেন না অনুব্রত, মেল করে জানালেন কারণ
জাদুঘরের মতো একটি হাই সিকিউরিটি জোনে একজন কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ান একে ৪৭ রাইফেল ছিনিয়ে নির্বিচার ১৫ রাউন্ড গুলি চালনার ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই দেখছে কলকাতা পুলিস। ওই গুলিতে নিহত হয়েছেন একজন। আহত হয়েছেন অন্য একজন। অভিযুক্ত জওয়ান অক্ষয়কুমার মিশ্র অভিযোগ করেছেন তাঁকে হেনস্থা করা হতো, তাঁকে মানসিক নির্যাতন করা হতো। এমনও অভিযোগ, সিআইএসএফ ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের থাকা রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গি কর্তব্যরত অবস্থায় অক্ষয়ের ঘুমিয়ে পড়ার ছবি তুলে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এখন ওইসব অভিযোগের মধ্যে সত্যিই কি কোনও সত্যি রয়েছে নাকে এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে সেটাই খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে অক্ষয়কে।
তদন্তরাকীরা জানতে পেরেছেন গত এপ্রিল মাসে অক্ষয়কুমারকে জম্মু ও কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছিল। গত ২১ এপ্রিল তিনি কাশ্মীরে পৌঁছন। আর ২৬ এপ্রিল তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। সেই সময় তাঁকে ২৫ দিন ছুটি দেওয়া হয়েছিল। তার পর আরও ১০ দিন ছুটি বাড়িয়ে নেন অক্ষয়। তারপরেই তিনি মিউডিয়ামে কাজে যোগ দেন। এখন প্রশ্ন সত্যই কি তাঁকে হেনস্থা করা হতো? এসব কথা মাথায় রেখেই অভিযুক্ত জওয়ানকে জেরা করছেন খোদ বিনীত গোয়েল।
এদিকে, রঞ্জিত সারেঙ্গির ময়না তদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ৩টি বুলেট ঢুকে বেরিয়ে গিয়েছে ৩টি বুলেট। একটি মুখের ডান দিকে, দ্বিতীয়টি বাম হাতে এবং তৃতীয়টি বুকে। শরীরের একাধিক জায়গায় হাড় ভেঙে গিয়েছে। বুলেটের আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে। মাথা, গলা, পেটে ও হাতে বুলেট ক্ষত রয়েছে। মাথার একটা অংশ কার্যত উড়ে গিয়েছে।