Kolkata Doctor Rape and Murder: আরজি করের 'বিতর্কিত' সন্দীপ ঘোষকে রাস্তা থেকেই তুলল CBI!
R G Kar Incident | Sandip Ghosh: প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, "একজন ডাক্তারের মৃত্যু, তার পরেও সুপার, প্রিন্সিপাল চুপ। যেটা সন্দেহজনক। প্রিন্সিপাল কেন অভিযোগ করলেন না?"
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে সিজিওতে সিবিআই। মাঝ রাস্তা থেকেই সন্দীপ ঘোষকে তুলল সিবিআই। আগেই নোটিস পাঠায় সিবিআই। হাজিরা না দেওয়ায় সন্দীপ ঘোষকে মাঝ রাস্তা থেকেই সোজা সিজিও কমপ্লেক্সে তুলে নিয়ে এল সিবিআই। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আর জি করের চিকিত্সক-পড়ুয়ার 'ধর্ষণ ও খুন'-এর ঘটনার পর থেকেই অভিযোগের আঙুল সন্দীপ ঘোষের দিকে। এই ঘটনায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ জড়িত বলে সরব হয়েছে আরজি করের আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। চাপের মুখে পড়ে ঘটনার ৩ দিন পর আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন সন্দীপ ঘোষ।
এদিকে সকালে ইস্তফার পর, সেদিন বিকালেই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বহাল করে স্বাস্থ্য দফতর। আর তারপরই বিক্ষোভ শুরু হয় ন্যাশনাল মেডিক্যালেও। অধ্যক্ষ পদে সন্দীপ ঘোষকে কোনওভাবেই মানা হবে না, এই দাবিতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা প্রিন্সিপাল রুমের সামনে বসে পড়েন সকাল থেকে। আগেই অধ্যক্ষের ঘরে তালা লাগিয়ে দেন ছাত্রছাত্রীরা। চাপের মুখে পড়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন সন্দীপ ঘোষ। ওদিকে সন্দীপ ঘোষ প্রসঙ্গে হাইকোর্টও কড়া অবস্থান নেয়। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, "একজন ডাক্তারের মৃত্যু, তার পরেও সুপার, প্রিন্সিপাল চুপ। যেটা সন্দেহজনক। কেন একজন প্রিন্সিপ্যাল পদত্যাগ করল সেটা না খুঁজে রাজ্য তাকে অন্য পদে নিযুক্ত করে দিল। এত তাড়া কেন? সেটা বোঝা গেল না!"
প্রধান বিচারপতি বলেন, "সামথিং ইজ মিসিং। এমন নয় দেহ রাস্তায় পড়ে আছে! তারপরেও সুপার, প্রিন্সিপাল কেন অভিযোগ করলেন না? সেটা না করে প্রিন্সিপালকে পুরস্কৃত করছেন?" কটাক্ষ করেন, "ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে এসেছে।" স্পষ্ট নির্দেশ দেন, "প্রিন্সিপ্যাল পদত্যাগ পত্রে কী লিখেছেন তা দেখা দরকার।" পাশাপাশি হাইকোর্ট সন্দীপ ঘোষকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠানোর জন্যও নির্দেশ দেয়। আদালত বলে, "ওনাকে ১৫ দিনের ওয়েটিংয়ে পাঠান। যতক্ষণ পর্যন্ত না পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত অন্য কোনও পদে বহাল নয়।"
প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় গত বছর তাঁকে মুর্শিদাবাদে বদলি করা হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই অবশ্য ফের আরজিকরে ফিরে আসেন তিনি। গত মার্চ মাসে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। টেন্ডারের ক্ষেত্রে অনিয়ম সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, আরজিকর হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল ওয়েস্ট কোটি কোটি টাকায় পাচার করা হত বাংলাদেশে। বর্জ্য সংগ্রহের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)