JU Ragging: যাদবপুরের মেইন হস্টেলে ফের র্যাগিং! হস্টেল বদলের আবেদন পড়ুয়ার
JU Ragging: ইতিমধ্যেই ওই ছাত্র কর্তৃপক্ষকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেছেন। জানা যাচ্ছে, ওই ছাত্রকে মেস কমিটির কনভেনার করা হয়েছিল। বাজার করা নিয়ে তাঁকে গালাগাল, কটূক্তি এমনকি অভব্য আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ।

পিয়ালি মিত্র: চার মাসও কাটেনি। তার মধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে ফের র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল। দর্শনের স্নাতকোত্তরের ওই পড়ুয়ার হয়ে কর্তৃপক্ষকে ইমেইল করেছেন এক সহপাঠী। র্যাগিংয়ের জেরে ওই ছাত্র হস্টেল বদলের আবেদন জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে।
আরও পড়ুন-আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হবে গভীর নিম্নচাপ, কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া?
এনিয়ে যাদবপুরের উপাচার্য বলেন, আপাতত বিষয়টি বিচার করে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড। অন্য কোনও তদন্ত কমিটি তদন্ত করতে পারে না। সেটা বেআইনি। র্যাগিং বন্ধ করার একশো শতাংশ চেষ্টা করছি। তার পরেও র্যাগিং হয়। তাই তো এত ব্যবস্থা। র্যাগিং বন্ধ অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি। আশা করছি স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার বোর্ড প্রতিটি ইয়ার অনুযায়ী আলাদা করে ব্লক করবে। আমার ধারনা তা হলে র্যাগিং নিরানব্বই শতাংশ কমে যাবে। আশাকরি এআরসি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় এনিয়ে বলেন, গত ১০ আগস্ট একটি ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটে মেইন হস্টেলে। তার পর সাড়ে তিন মাস কেটে গিয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে বহু ছাত্রকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কিন্তু জেলে নেই এমন একজন ছাত্রের বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সেই মেইন হোস্টেলেই ফের র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল। যতটুকু জানা যাচ্ছে যে ছাত্রের উপরে র্যাগিং হয়েছে বলে অভিযোগ সে হস্টেল ছেড়ে দিয়েছে। এখানে একটা কথাই বলার, যিনি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তিনি র্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। আসলে পুরো প্রক্রিয়াটাকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
ইতিমধ্যেই ওই ছাত্র কর্তৃপক্ষকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেছেন। জানা যাচ্ছে, ওই ছাত্রকে মেস কমিটির কনভেনার করা হয়েছিল। বাজার করা নিয়ে তাঁকে গালাগাল, কটূক্তি এমনকি অভব্য আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ। ক্রমাগত ওই ঘটনার জেরে তিনি হস্টেলে থাকতে নিরাপদ বোধ করছিলেন না। এরপরই তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন তাঁকে যেন অন্য কোথাও থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন জুটা। দাবি করা হচ্ছে, গত ১০ আগস্ট ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর যারা গ্রেফতার হয়নি সেইসব ছাত্রদের বিরুদ্ধে র্যাগিং কমিটির সুপারিশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখানো হয়েছে। এর জন্যই ফের র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)