লোহাচুর দুর্নীতি মামলা, পুলিস হেফাজতে ২ আমলা
লোহাচুর দুর্নীতি মামলায় ধৃত আইএএস অফিসার দেবাদিত্য চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন আমলা আর এম পি জামিরকে বৃহস্পতিবার তোলা হল ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। বিচারক তাঁদের ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
লোহাচুর দুর্নীতি মামলায় ধৃত আইএএস অফিসার দেবাদিত্য চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন আমলা আর এম পি জামিরকে বৃহস্পতিবার তোলা হল ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। বিচারক তাঁদের ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। গতকালই অত্যাবশ্যক পণ্য নিগমের লোহাচুর দুর্নীতি মামলায় দেবাদিত্যবাবুকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ২০০৪ সালে আর্থিক দৈন্য কাটানোর জন্য লোহাচুর ব্যবসায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অত্যবশ্যক পণ্য নিগম। ব্যাঙ্কের থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ নেওয়া হয়। অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাকে সহযোগী হিসেবে এই ব্যবসায় যুক্তও করে নিগম। তাদেরকেও ঋণ বাবদ যে টাকা মিলেছিল তার অংশ দেওয়া হয়। কিন্তু মাস পেরোতে না পেরোতেই দুর্নীতি সামনে এসে যায়। বাজার অনুযায়ী সেই সময় জাহাজের ভাড়া টন পিছু ২৩ ডলার হওয়া সত্বেও, নিগম সিঙ্গাপুরের একটি জাহাজ সংস্থাকে টন পিছু ২৬ ডলারের বরাত দেয়। জানা যায়, ফেরা আইনের তোয়াক্কা না করেই ৫টি কিস্তিতে ১৬ কোটি টাকা ওই জাহাজ সংস্থাকে অগ্রিম দেয় নিগম। সেই টাকা ফেরত পাওয়া দূরস্থান, চিনের বন্দরে জাহাজ পৌঁছনোর কথা থাকলেও সেখানে তা না যাওয়ায় ক্ষতিপূরণও দিতে হয় নিগমকে।
প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত করে খাদ্য দফতর। এর পর তদন্তের দায়িত্ব নেয় কলকাতা পুলিস। ২০০৭-এ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় কলকাতা পুলিস। সেই চার্জশিটে নাম ছিল, অত্যাবশ্যক পণ্য নিগমের তত্কালীন ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাদিত্য চক্রবর্তী এবং এই দফতরের তত্কালীন সচিব আর এম পি জামিরের। কিন্তু তত্কালীন রাজ্য সরকারের আপত্তি এবং আইএএসদের সংগঠনের প্রবল আপত্তিতে দেবাদিত্যবাবুকে গ্রেফতার করা যায়নি। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে। এরপরই বুধবার আর এম পি জামির ও দেবাদিত্য চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ১৯৭৬-এর ব্যাচের আইএএস অফিসার দেবাদিত্যবাবু ২০০৬ থেকে কমপালসারি ওয়েটিংয়ে ছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। আর এম পি জামির ২০১০ সালে এই মামলার চার্জশিট পেশের আগেই অবসর নেন।