Garia Fire: বসত বাড়িতে চলছে কারখানার গোডাউন, ভয়াবহ আগুন গড়িয়ায়
জানা গিয়েছে এই একটি বসত বাড়ি ছিল। বাড়ির মালিক একটি কারখানাকে এই বাড়িটি লিজ দেন বলেও জানা গিয়েছে। সেই বাড়িতে রমরমিয়ে চলছিল কারখানা অথবা গোডাউন। জানা গিয়েছে বাড়ির একতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত ঠাসা ছিল দাহ্য থেকে অতিদাহ্য রাসায়নিকে।
অয়ন ঘোষাল: সাতসকালে ফের বিধ্বংসী আগুন মহানগরে। গড়িয়া স্টেশন রোডের আনন্দনগর স্কুলের পাশের বাড়িতে লাগে আগুন। সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। পরে সেখানে পৌঁছায় আরও তিনটি ইঞ্জিন। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রনে আসে আগুন। ঘনবসতিপুর্ণ এলাকা হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা।
ভোরবেলা ৫.৩০ মিনিট থেকে ৬টার মধ্যে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছুক্ষন আগুন জ্বলার পরে বাড়ির ছাদের ফাটল দিয়ে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। আশেপাশের এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এই ঘটনায়। বাড়িটি ভেঙে পড়লে অন্যান্য বাড়ির মানুষের পক্ষে নিজেদের বাড়ি থেকে বেরনো কঠিন হয়ে যাবে বলে জানা যায়।
বাড়িটির প্রবেশপথ সরু হওয়ায় দমকলের কোনও গাড়ি গলিতে প্রবেশ করত পারেনি। লুপ লাইন তৈরি করে আগুন নেভানোর কাজ চালানো হয়। যদিও এখনও পকেট ফায়ার রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আগুনের উপর প্রাথমিক নিয়ন্ত্রন পাওয়া গেলেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকলকে। যদিও এই অগ্নিকান্ডে কোনও হতাহতে খবর পাওয়া যায়নি।
সোনারপুর থানার গড়িয়া তেঁতুলবেড়িযা অনুকূল চন্দ্র রোডে, অনুকূল হাইস্কুলের পাশের পাশের বাড়িটি নামে বসতবাড়ি হলেও দীর্ঘদিন ধরেই আসলে লাউডস্পিকার তৈরির কারখানা ও গুদাম। ফলে লাউডস্পিকার তৈরির সমস্ত দাহ্য থেকে অতি দাহ্য পদার্থে ঠাসা তিনতলা বাড়ির পুরোটাই। সেই ভাবে আগুন নেভানোর কোনো ব্যাবস্থা নেই। বলছেন গুদামের কেয়ারটেকার এবং দমকল আধিকারিক সকলেই।
আতঙ্কিত এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহুবার বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানিয়ে লাভ হয়নি।
কারখানার মালিক এই মুহূর্তে কলকাতার বাইরে। তার পরিচিত এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে এসে সাফাই দিয়েছেন, এটি পঞ্চায়েত এলাকা থাকাকালীনই এখানে কারখানা চলছে।
আরও পড়ুন: Accident: ট্রামলাইনে আটকে গেল বাইকের চাকা! উল্টোডাঙায় পুলিসকর্মীকে পিষে দিল লরি
এই কাজের অনুমতি এল কী করে এবং সবার নজর এড়িয়ে কীভাবে এই কাজ চলছিল এরকম বহু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কী থেকে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি। পাশপাশি আগুন লাগার পড়ে বেশ কিছুটা সময় লাগে তা নেভানোর কাজ শুরু করতে। শিরিশ কাগজ, গদের আঠা, অ্যাঢেসিভের মতো জিনিস প্যাকিং হয়ে এখান থাকতো বলে জানা গিয়েছে।