JU VC: যাদবপুরের উপাচার্যও এবার র্যাগিংয়ের শিকার?
JU VC: তাঁকেই কেন টার্গেট করা হচ্ছে? ছাত্রদের প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ছাত্ররা সবসময় নিস্পাপ হয়। তাদের যেমন নাচাচ্ছে তেমনই তারা নাচছে। সেটাই আমার মনে হয়েছে। কেননা গতকাল ছাত্ররা যেভাবে আমাকে ঘিরে রেখেছিল তাতে আমার মনে হয়েছে এরকম জিনিস ছাত্রদের মাথা থেকে বের হতে পারে না

অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্যায়: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর এক উত্তপ্ত বাতাবরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব সাউ। উপাচার্য হিসেবে তিনিই এখন বিরক্ত। তিনি র্যাগিংয়ের শিকার। এর পেছনে ছাত্রদের ইন্ধন রয়েছে বড় মাথাদের। কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দেওয়া হচ্ছে না। এর পেছনে বাইরের কারও হাত থাকতে পারে। এমনটাই অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের।
আরও পড়ুন- ধূপগুড়ির জয়ী প্রার্থীকে নিজেই শপথবাক্য পাঠ করাতে চান রাজ্যপাল!
শনিবার বুদ্ধদেব সাউ বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমার মনে হয়েছে ইসি-কে বাঞ্চাল করার এর উদ্দেশ্য। এরকম করলে তো ইউনিভার্সিটি চলবে না। এরকম হতে থাকলে তো উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করতে হবে কে এই ধরনের ডিজাইন করছে, ষড়যন্ত্র কারা করছে?
কাজে লাগাতার বাধাা দেওয়া হচ্ছে। তাহলে কি আপনি র্যাগিংয়ের শিকার? বুদ্ধদেববাবু বলেন, হ্যাঁ র্যাগিং তো বটেই। আমি একটা কাজে বের হব, ছাত্ররা আমাকে ঘিরে রেখে দিয়েছে। বাইরে যেতে দিচ্ছে না। এটা র্যাগিং নয়? কিছু ছাত্র অহেতুক ঝামেলা করছে। আমার ধারনা হয়েছে ইউনিভার্সিটিটা অচল করে দেওয়ার একটা প্ল্যান চলছে। আমিতো প্রাইভেট কোম্পানিতে ছিলাম, আমি জানি। বিভিন্ন সময়ে একটা সিস্টেমকে অচল করে দেওয়ার একটা চেষ্টা হয়। আমার মনে হয় এই ছাত্ররা এতটা খারাপ নয়। এর পেছনে কোনও পাকা মাথা কাজ করছে। আমি ভাবতেই পারছি না ছেলেরা এরকম করতে পারে।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ইসির বৈঠক রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই বৈঠক হতে দেওয়া হবে না বলে ছাত্রদের একাংশের দাবি। তাদের বক্তব্য যতক্ষণ পর্যন্ত না সব স্টেক হোল্ডারদের বৈঠক হচ্ছে ততক্ষণ ইসি-র বৈঠক হতে দেওয়া হবে না। উপাচার্যের বক্তব্য, ইসি-র বৈঠক যদি হতে না দেওয়া হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়বে। কারণ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ইসির মিটিংয়ে হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ইসির বৈঠক যদি না হয় তাহলে তিনি বিষয়টি আচার্যকে জানাবেন। প্রয়োজনে সরকারের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলা হবে। সিসিটিভি বসানো নিয়ে ছাত্রদের একাংশ এখনও আপত্তি করে আসছে। কিন্তু সিসিটিভি বসানো ইউজিসির অত্যন্ত বেসিক গাইডলাইন। হয়তো আমি কারও পছন্দের নয়। তাই ইস্তফা দিতে বলা হচ্ছে এভাবে।
তাঁকেই কেন টার্গেট করা হচ্ছে? ছাত্রদের প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ছাত্ররা সবসময় নিস্পাপ হয়। তাদের যেমন নাচাচ্ছে তেমনই তারা নাচছে। সেটাই আমার মনে হয়েছে। কেননা গতকাল ছাত্ররা যেভাবে আমাকে ঘিরে রেখেছিল তাতে আমার মনে হয়েছে এরকম জিনিস ছাত্রদের মাথা থেকে বের হতে পারে না। এর পেছনে কোনও পাকা মাথার হাত রয়েছে। গোটাটাই একটা পরিকল্পনা, একটা ষড়যন্ত্র। একটা কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চাশটা ডিপোজিশন জমা পড়েছে। যত ডিপোজিশন পড়েছে তাতে মনে হয়েছে এটা আমার একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তখন প্রো-ভিসিকে প্রধান করে একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছি। এটা মানা হচ্ছে না। অর্থাত্ তারা কোনও একজন পছন্দের ভিসি চাইছেন যিনি তাদের কথা শুনে কাজ করবেন। হয়তো বা অনৈতিক কিছু দাবি করবে। আমি সবার কথা শুনছি। এটা তাদের পছন্দ নয়।
উপাচার্যের ওই মন্তব্য নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, জানি না। যাদবপুরের বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। উপাচার্যকে তো আমরা ওখানে পাঠাইনি। যিনি পাঠিয়েছেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন। উপাচার্যই স্থির করবেন কারা চাপ দিচ্ছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)