#দিদিকেই বলছি- সোশ্যাল সাইটে পালটা প্রচারে সিপিএম
সিপিএম নেতাদের দাবি, আট বছরে রাজ্যের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে যেসব প্রশ্ন করতে পারেননি, দিদিকেই বলছির মাধ্যমে তাঁরা সেগুলিই তুলে ধরতে চান।
![#দিদিকেই বলছি- সোশ্যাল সাইটে পালটা প্রচারে সিপিএম #দিদিকেই বলছি- সোশ্যাল সাইটে পালটা প্রচারে সিপিএম](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/07/30/202660-be481838-d8ab-463a-9a63-076895242e38.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিদিকেই বলছি। হ্যাঁ, এই নামেই পাল্টা প্রচারে বামেরা।তৃণমূলের দিদিকে বলোর সঙ্গে টক্কর দিতে পাল্টা প্রশ্ন তৈরি করেছে আলিমুদ্দিন। সিপিএম নেতাদের দাবি, আট বছরে রাজ্যের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে যেসব প্রশ্ন করতে পারেননি, দিদিকেই বলছির মাধ্যমে তাঁরা সেগুলিই তুলে ধরতে চান।
লক্ষ্য উন্নতর তৃণমূল। জনতার দরবারে সরাসরি দিদি। সোমবার থেকেই চালু হয়েছে তৃণমূলের দিদিকে বলো ক্যাম্পেন। যেকোনও অভাব-অভিযোগ এক ফোনে জানানো যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীকে। আর তাকেই অস্ত্র করে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধতে পাল্টা ময়দানে সিপিএম।
দলীয় মুখপত্রে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে আলিমুদ্দিন। সিপিএম নেতাদের বক্তব্য, গত আট বছরে যেসব প্রশ্ন করার সুযোগ রাজ্যবাসী পাননি , তাই এবার উঠে আসবে দিদিকে বলো-র মোবাইল নম্বরে।কী সেই প্রশ্ন...
#সিপিএমের 'দিদিকেই বলছি'
---------------
প্রশ্ন ১
২০১১-এ সরকারে আসার প্রথম ২০০দিনের মধ্যে কী কী করা হবে তার ভিশন ডকুমেন্ট তৈরি হয়।সেখানে বলা হয়, রাজ্যজুড়ে 'শিল্পনগরী শৃঙ্খল' গড়ে তোলা হবে, বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কারখানা পুনরায় চালু হবে। ৮ বছরে ফল উল্টো। ৪৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বন্ধ। কেন?
প্রশ্ন ২
২০১১সালে সরকারের ঋণভারের পরিমান ছিল ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা কোটি টাকা। ২০১৯-২০-র মাঝামাঝিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। কীভাবে?কেন?
প্রশ্ন ৩
বছরে ২ লক্ষ কর্মসংস্থানের কী হলো?SSC থেকে টেট লিস্টে নাম উঠছে মন্ত্রী কন্যা থেকে নেতার আত্মীয়দের। কাজ চাই, কাজ কোথায় বলুন?
প্রশ্ন ৪
আদালত থেকে রাজ্যপাল, সবার গলাতেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এমন উদ্বেগ কেন?কেন পুলিসকে টেবিলের তলায় লুকোতে হয়?কেন এরাজ্যে নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষ সবচেয়ে বেশি?কেন ৮বছরে ২১৮জন বাম কর্মীকে খুন হতে হয়?
প্রথম দিনেই হোঁচট খেল 'দিদিকে বলো', উঠছে বিল, কিন্তু বলা যাচ্ছে না কথা
প্রশ্ন ৫
২১ জুলাই আপনি গণতন্ত্র ফেরানোর ডাক দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফেরানো দায়িত্ব কার?২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে এত হিংসা হল কেন?কেন বামেদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা?
মঙ্গলবার থেকেই এসব প্রশ্ন নিয়ে শুরু হচ্ছে দিদিকেই বলছি ক্যাম্পেন। দলের প্রত্যেক কর্মীকে হোয়াট্অ্যাপের মাধ্যমে এই সব প্রশ্ন ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আলিমুদ্দিন। বিরোধীদের উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
হারানো জমি পুনরুদ্ধারে দিদিকেই বলছি ক্যাম্পেন বামেদের কতটা ডিভিডেন্ট দেয়, সেটা দেখার।