পিগি ব্য়াঙ্কের টাকায় কেক-পেস্ট্রি নয়; ছোট্ট মেয়েও সামিল হল করোনা-যুদ্ধে
অনেক দিন থেকেই মায়ের মুখে সে করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের কথা শুনে আসছে।
![পিগি ব্য়াঙ্কের টাকায় কেক-পেস্ট্রি নয়; ছোট্ট মেয়েও সামিল হল করোনা-যুদ্ধে পিগি ব্য়াঙ্কের টাকায় কেক-পেস্ট্রি নয়; ছোট্ট মেয়েও সামিল হল করোনা-যুদ্ধে](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/05/16/320649-avipsa.jpg)
মৌমিতা চক্রবর্তী
কতই-বা বয়স তার? খুব বেশি হলে আট-নয়। এই বয়সের কোনও মেয়ের জগতে সাধারণত কী কী থাকে? সিনচ্যান-ডোরেমন, কেক-চকোলেট, খেলনা-পুতুল। ব্য়াস! সমাজ-অর্থনীতি-অতিমারী ইত্যাদি এই ছোট্ট মনের পক্ষে বেশ ভারীই।
কিন্তু কখনও যদি এমন হয়, যে, ওই ছোট্ট মেয়েটিই তার ভাললাগা-কল্পনার জগৎ থেকে স্বেচ্ছায় সরে এসে একটু উঁকি দিল তার চারপাশের ঘোর বাস্তবতার দিকে? সচরাচর তেমন হয় না। কিন্তু এমনই ঘটল জি ডি বিড়লা স্কুলের ক্লাস টু-র এক ছাত্রীর ক্ষেত্রে।
নেতাজিনগরের বাসিন্দা ক্লাস টু-র অভীপ্সা বোস তার পিগি ব্যাঙ্কে জমানো ১০ হাজার টাকার পুরোটাই তুলে দিল তার পাড়ার বড়দের হাতে। এই টাকাটা সে দিল করোনা মোকাবিলার সরঞ্জাম কেনার জন্য। এইটুকু মেয়ের এমন সংবেদনশীলতায় মুগ্ধ এলাকাবাসী। মুগ্ধ তার হাত থেকে দান গ্রহণ করা বড়রাও।
আরও পড়ুন: 'অদ্ভুত আঁধার' কাটিয়ে দেওয়া 'মৃতবন্দরে বাঁচার আজান' রেড ভলান্টিয়ারের
কী ভাবে এটা ঘটল অভীপ্সার মনে?
আসলে অনেক দিন থেকেই মায়ের মুখে সে করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের কথা শুনে আসছে। চারপাশের মানুষের অসহায়তার কথা শুনে হয়তো কোনও ভাবে ব্যথিত হয়ে উঠেছিল তার নরম মনটা। আর তখনই অভীপ্সা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, এবার আর চকলেট কেক পেস্ট্রি খেলনা কিছুই নয়; বরং নিজের জন্মদিন উপলক্ষে পাড়ার রেড ভলান্টিয়ারদের হাতেই সে তুলে দেবে এতদিন ধরে পুতপুত করে জমানো তার পিগি ব্যাঙ্কের টাকাটা!
সত্যিই তো, জন্মদিনের এর চেয়ে ভাল উদযাপন আর হয় নাকি? ছোট্ট মেয়েটি যেন নিজের আচরণ দিয়ে আর একবার সকলকে মনে করিয়ে দিল-- 'সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।'
আরও পড়ুন: কামারহাটিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ১০০ বেডের সেফ হোম তৈরি করলেন মদন মিত্র